Site icon The News Nest

ওয়েল্ডিং খুলল দক্ষিণেশ্বর স্কাই ওয়াকের, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

image 1

কলকাতা: উদ্বোধনের পর ছ’মাস কাটতে না কাটতেই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের মেঝেতে পাতা টালি উঠে বিপত্তি। একটি অংশে প্রায় ২০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে ফুলে উঠেছে স্কাইওয়াকের মেঝে। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কাইওয়াকের স্টলমালিকদের মধ্যে।প্রথমে জানা যায়, ফাটল ধরা পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পে। পরে অবশ্য রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “ফাটল নয়। ওয়েল্ডিং-এর একটা সমস্যা হয়েছে। তেমন কোনও বড় ব্যাপার নয়।”

গতবছর নভেম্বরে কালীপুজোর ঠিক আগের দিন মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন দক্ষিণেশ্বরের রানি রাসমণি স্কাই ওয়াকের। মে মাসে এলে ছ’মাস হবে। স্কাইওয়াক এখন অন্যতম দেখবার জায়গাও বটে। রাতের স্কাই ওয়াকে নীল-সাদা আলোর মায়াবি খেলাও চোখ টেনে নেয়। এসকেলেটার, লিফট-সহ ঝাঁ চকচকে স্কাইওয়াক। অনেক বছর আগে দক্ষিণেশ্বর ঘুরে যাওয়া মানুষ যদি এখন আসেন, তাঁর কাছে অচেনা ঠেকবে সব কিছু। সেই কাদা প্যাচপ্যাচে রাস্তার কোনও নাম নিশান নেই। তরুণ-তরুণীদের কাছে স্কাই ওয়াক এখন ডিপি তোলার নতুন ডেস্টিনেশন। মুখ্যমন্ত্রীও ভোটপ্রচারে যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই এই স্কাই ওয়াকের কথা বলছেন। তবে এ দিনের ঘটনায় তা একটু হলেও ধাক্কা খেল বলেই মনে করছেন অনেকে।

ইস্পাত এবং কাচ দিয়ে তৈরি ওই স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। স্কাইওয়াকের নীচের অংশে সাবেক রাস্তায় থাকা হকারদের পুনর্বাসন দিতে স্কাইওয়াকেই ১৩৭টি স্টলের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। ওই ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা মূল ইস্পাতের কাঠামোতেই কোনও সমস্যা হয়েছে। সেই কারণেই মাঝে মাঝেই এ ভাবে ফুলে উঠছে বা বসে যাচ্ছে রাস্তা। তাঁদের দাবি, ফুলে ওঠা মেঝের আশপাশ দিয়ে হাঁটলেও আওয়াজ হচ্ছে। যদিও কেএমডিএ-র পক্ষ থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত সরকারি ভাবে জানানো হয়নি ঠিক কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। এমনিতেই ভোটের বাজার। একটু খানি ছিদ্র পেলেই বিরোধীরা তাকে বড় গর্ত বানাতে ছাড়বে না। এই ঘটনা নিয়ে এক বিজেপি নেতা বলেন, “তৃণমূলের সব প্রকল্পেই কাটমানির বালি ভরা। দেখলেন না পোস্তা ব্রিজের কী হল! যেখানে তৃণমূল, সেখানেই ফাটল।”

 

Exit mobile version