কতজন মানুষ মারা গেছে, তা গুনতে পারে না বায়ুসেনা, জানালেন বিএস ধানোয়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কোয়েম্বাটুর:  বালাকোটে বিমান হানায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। চলছে রাজনৈতিক তরজাও। বিরোধীরা প্রমাণ চাইছেন।সরকারের তরফে বিমান হানা সফল বলে দাবি করা হয়েছে, যদিও কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা জানানো হয় নি। ২৫০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল প্রাণ গিয়েছে ৩০০ জঙ্গির।  শনিবার বায়ুসেনা প্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন , ” ক্ষয়ক্ষতির হিসেব বায়ুসেনা করে না। এটা করে সরকার। আমরা দেখি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পেরেছি কিনা।” অর্থাৎ সংখ্যাটা স্পষ্ট হল না বায়ুসেনার বক্তব্যেও।

ক্ষেত্রে বিমান হানার সত্যতা বা আদৌ জঙ্গি শিবির ধ্বংস করা হয়েছে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বলার চেষ্টা হচ্ছে জঙ্গলে বোমা ফেলে এসেছে বায়ুসেনা। সেইসব প্রশ্নেরই জোরাল ভাষায় মোকাবিলা করেন বায়ুসেনা প্রধান।তিনি বলেন, ‘কী ভাবে কোথায় বিমানহানা হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশ সচিব। আমরা যখন কোনও টার্গেটে আঘাত করার সিদ্ধান্ত নিই তখন সেখানে আঘাত করেই ছাড়ি। আমরা যদি জঙ্গলেই বোমা ফেলে আসি তাহলে উনি(ইমরান খান) অত চিত্কার করছেন কেন? আমরা আমাদের লক্ষ্যবস্তুতেই আঘাত করেছি। তা না হলে পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাবে কেন?’

বায়ু সেনা মহলে ‘উড়ন্ত কফিন’ বলেই পরিচিত মিগ যুদ্ধবিমানগুলি। এই বছরই মিগ-২১ যুদ্ধবিমানগুলি বাতিল করে দিচ্ছে বায়ু সেনা। অথচ ২৭ ফেব্রুয়ারি পাক বায়ুসেনা যে হামলা চালিয়েছিল, তার মোকাবিলায় সেই মিগ-২১ যুদ্ধবিমান নিয়েই প্রতিরোধে নেমেছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন । এ নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে। এ দিন এই প্রশ্নের জবাবে বায়ু সেনা প্রধান বলেন, ‘‘অভিনন্দন বর্তমান যে যুদ্ধবিমান নিয়ে ‘ডগ ফাইট’-এ নেমেছিলেন সেটি থার্ড জেনারেশন মিগ-২১। অনেক উন্নত প্রযুক্তির।’

কবে ফের ককপিটে বসতে পারবেন অভিনন্দন, এই প্রশ্নের উত্তরে ধানোয়া বলেন, ‘উইং কমান্ডার অভিনন্দনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার যে ধরেনর চিকিত্সার প্রয়োজন হবে তা দেওয়া হবে। তিনি ফিট হলে তাঁকে আবার বিমান ওড়াতে দেওয়া হবে।’ বায়ু সেনার যুদ্ধবিমান ও প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণের বিষয়ে ধানোয়া বলেন, ‘‘এটি একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া। সব সময়ই উন্নততর প্রযুক্তি গ্রহণ করা হয়।’’ যে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়েছে, সেগুলি সেপ্টেম্বরেই বায়ুসেনা হাতে পাবে বলেও জানান ধানোয়া।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest