Site icon The News Nest

কর্ণাটক কাণ্ডে সুপ্রিম রায়: ইস্তফা নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত তবে বিদ্রোহী বিধায়কদের আস্থা ভোটে বাধ্য করা যাবে না

hd 2

#নয়াদিল্লি: বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগের ব্যাপারে স্পিকারের ওপরে কোনো চাপ সৃষ্টি করল না শীর্ষ আদালত। আদালতের সাফ কথা বিদ্রোহীদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে কি না, সেটা একমাত্র স্পিকারই ঠিক করবেন। কর্নাটক মামলায় বুধবার এই রায় দিল তারা।

পাশাপাশি, বিদ্রোহীদের পক্ষেও একটি কথা বলেছে আদালত। আস্থাভোটে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে বিদ্রোহীদের ওপরে কেউ কোনো চাপ সৃষ্টি করা যাবে না বলেও সাফ জানানো হয়েছে আদালতের তরফে।

মঙ্গলবার, মামলাটি শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চে মামলাটি উঠেছিল। বিদ্রোহী বিধায়কদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন,  স্পিকার বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখতে পারেন না। এক জন রাজনৈতিক দলের সদস্যের মতো আচরণ করতে পারেন না তিনি। বিধায়কেরা স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন কি না তাই কেবলমাত্র দেখা উচিত। রোহতগির অভিযোগ, কর্নাটকে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে এইচ ডি কুমারস্বামীর সরকার। আর সরকার বাঁচাতেই বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করছেন না বিধানসভার অধ্যক্ষ। স্পিকারের সাংবিধানিক ক্ষমতার কথা বলে পাল্টা যুক্তি দেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও। তাঁর দাবি, কোনও বিষয়ে নির্দিষ্ট পথে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জন্য স্পিকারকে নির্দেশ দেওয়া যায় না।

দুই সপ্তাহে রেজিগনেশন লেটার পাঠিয়েছেন কর্ণাটকের শাসক জোটের ১৬ জন বিধায়ক। কংরেস-জেডি এস সরকারের সমর্থক দুই নির্দল বিধায়কও জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা বিজেপির পক্ষে। স্পিকার কে রমেশ কুমার একজনেরও ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি। বিদ্রোহীরা সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেছিলেন, স্পিকার শাসক জোটের সুবিধা করে দিচ্ছেন। কিন্তু বুধবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দিল, বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগপত্র নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন একমাত্র স্পিকারই।

সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলেছে, স্পিকার কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা নিয়ে কোর্টের কিছু বলার নেই। আদালত কোনও সিদ্ধান্ত তাঁর ওপরে চাপিয়ে দিতে পারে না।

বিদ্রোহী বিধায়করা শীর্ষ আদালতে বলেছিলেন, স্পিকার তাঁদের পদত্যাগ গ্রহণ করতে দেরি করছেন। এদিকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। তাহলে তাঁরা কি অধিবেশনে অংশ নিতে বাধ্য হবেন? সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য বলেছে, বিদ্রোহীদের অধিবেশনে অংশ নিতে বাধ্য করা যাবে না।  বৃহস্পতিবার বিধানসভায় আস্থাভোট হবে। তাতেও বিদ্রোহীদের অংশ নিতে বাধ্য করা যাবে না।

স্পিকার যদি ইস্তফা গ্রহণ করেন, তাহলে শাসক জোটের বিধায়কের সংখ্যা ১১৮ থেকে নেমে আসবে ১০০-তে। বিধানসভায় তখন গরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন হবে ১০৫ টি আসন। বিজেপির ঠিক ১০৫ টি আসনই আছে। তার ওপরে দুই নির্দল বিধায়ক তাদের সমর্থন করবেন বলেছেন।

স্পিকার সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন, বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী বিধায়কের পদ বাতিল হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁদের পুনরায় নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় আসতে হবে। তার আগে মন্ত্রী হতে পারবেন না। কিন্তু তাঁরা যদি ইস্তফা দেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সহজেই মন্ত্রী হতে পারবেন। ছ’মাসের মধ্যে কোনও কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে এলেই চলবে।

Exit mobile version