Site icon The News Nest

কর্নাটকে সরকার গঠনের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি, চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ইয়েদুরাপ্পা

Yeddi

#বেঙ্গালুরু: কুমারস্বামী পারলেন না। বিজেপির তথাকথিত ষড়যন্ত্রের ফাঁসে পড়ে গদি হারাতে হল কর্ণাটকের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে। রাহুল গান্ধী যতই বিজেপির এই জয়কে গণতন্ত্রের হার, অর্থ ও লোভের জয় বলে বর্ণনা করুন, বাস্তবটা তাঁকেও মেনে নিতে হবে। আর বাস্তব হল, আস্থা ভোটে ৯৯-১০৫ ব্যবধানে পরাস্ত হল কংগ্রেস-জেডিএস জোট, শিবকুমার-কুমারস্বামীর সব চেষ্টা জলে গেল। সব ঠিক থাকলে মাত্র ১৪ মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার কন্নড়ভূমের মসনদে বসবেন বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা।

কর্নাটক বিধানসভায় মঙ্গলবারের আস্থাভোটে মাত্র ৬ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। এর পরই বিধানসভার শক্তিপরীক্ষায় সংখ্যাধিক্য বিধায়কের আস্থা হারিয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা করেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁর পদত্যাগপত্র পৌঁছায় রাজ্যপাল বজুভাই বালার কাছে। বুধবারই কর্নাটকের সরকার গঠনের দাবি জানাতে চলেছে বিজেপি। চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু, ‘বিদ্রোহী’ ১৫ বিধায়কের (কংগ্রেসের ১২ বিধায়ক ও জেডিএসের ৩ বিধায়ক) ভবিষ্যৎ এখনও সুতোয় ঝুলে রয়েছে। তাঁদের বিধায়কপদ খারিজ হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার কেআর রমেশ।

গত বেশ কয়েক দিন ধরেই আস্থাভোট নিয়ে টানাপড়েন চলছিল কর্নাটকে। কিন্তু, জল কোন দিকে গড়াচ্ছে তা আন্দাজ করেই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছিল বিজেপি। মঙ্গলবার আস্থাভোটের পর ১৪ মাসের কংগ্রেস ও জেডিএস জোট সরকারের পতন ঘটতেই উচ্ছ্বসিত বিজেপি শিবির। ইয়েদুরাপ্পা বলেন, “এটা গণতন্ত্রের জয়। এ বার রাজ্যে উন্নয়নের নতুন যুগ শুরু হবে। মানুষ এই সরকার নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল।”

র্নাটকে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ১০৫ বিধায়ক। আজই রাজ্যপাল বাজুবাই বালার কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারেন ইয়েদুরাপ্পা। বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর প্রথম দফার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হতে পারে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের কয়েক জনের। কিন্তু, সে পথেও বাধা রয়েছে। দলত্যাগ আইনে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আগেই আবেদন করেছিল কুমারস্বামী সরকার। কুমারস্বামী সরকারের মন্ত্রী ছিলেন নির্দল বিধায়ক এইচ নাগেশ ও আর শঙ্কর। নির্দল বিধায়ক আর শঙ্করের বিরুদ্ধেও দলত্যাগ আইন প্রয়োগের আর্জি জানানো হয়েছে। ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ হলে, তাঁদের পুনর্নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। তারপরই, তাঁরা মন্ত্রী হতে পারবেন। বিজেপি নেতা এন রবিকুমারের অবশ্য দাবি, ‘‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তাঁরা আবার জিতে বিধানসভায় আসবেন।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, ওই বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ হলে আইনি পথও বেছে নেওয়া হতে পারে, যাতে তাঁদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়।

Exit mobile version