নয়াদিল্লি: দলের দুই প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানী এবং মুরলী মনোহর যোশীর মান ভঞ্জনের চেষ্টা শুরু করল বিজেপি। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে আজ এই দুজনের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আগামী বৃহস্পতিবার দেশে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগেই সোমবার দলের ইস্তাহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। এদিনই অমিত শাহ দুই প্রবীণ নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তাঁদের ভোট প্রক্রিয়ায় শামিল করাই বিজেপি সভাপতির উদ্দেশ্য।
দলের প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানী , মুরলীমনোহর জোশীর মতো নেতাকে এবার প্রার্থী করেনি বিজেপি। তাঁরা যে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছেন, সেকথাও তাঁদের সরাসরি জানাননি বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। দলের দ্বিতীয় সারির এক নেতাকে দিয়ে তাঁদের জানানো হয়েছিল। এর পরেই বিরোধীরা একবাক্যে বলতে শুরু করে, বিজেপিতে প্রবীণদের সম্মান নেই।
৯১ বছরের আডবাণীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর গান্ধীনগর আসন থেকে লড়বেন অমিত শাহ। ওই আসনে পর পর ছ’বার জয়লাভ করেছিলেন আডবাণী। গত মাসে জোশী তাঁর কানপুর কেন্দ্রের ভোটারদের এক খোলা চিঠিতে জানিয়ে দেন, দল তাঁকে নির্বাচনে দাঁড়াতে বারণ করেছে।
আদবানীও গত সপ্তাহে ব্লগে মন্তব্য করেন, বিজেপি কখনই তার সমালোচকদের দেশদ্রোহী বলে মনে করে না। মোদী ও অমিত শাহ বিভিন্ন জনসভায় বলেছিলেন, বিরোধীরা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন। আদবানী কার্যত তাঁদের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন বলে বিরোধীরা দাবি করেন। এর পরেই শোনা যায়, বিরোধীরা আদবানী ও জোশীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা নাকি জোশীকে বোঝাছেন, আপনি বারাণসী কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হোন। ২০১৪ সালে জোশী বারাণসী আসনটি মোদীকে ছেড়ে দেন। নিজে দাঁড়ান কানপুর থেকে। আডবাণীর কাছেও বিরোধীরা প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা যায়।
জোশী বা আদবানীর মত নেতা জিততে পারবেন কিনা পর্যবেক্ষকদের সন্দেহ আছে। কিন্তু তাঁরা বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারবেন। এমনকী বিজেপির প্রার্থীর ভালো সংখ্যক ভোটও কাটতে পারবেন। এই সম্ভাবনা দেখা দেওয়ার পরেই শোনা যাচ্ছে, অমিত শাহ শীঘ্র দুই প্রবীণ নেতার সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন।