Site icon The News Nest

কাঠুয়া গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত

Kathua

#নয়াদিল্লি: কাঠুয়ায় নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করল পঠানকোটের বিশেষ আদালত। এই ঘটনায় প্রাক্তন সরকারি অফিসার সঞ্জি রাম-সহ মোট সাত জন অভিযুক্ত ছিলেন। তথ্যপ্রমাণের অভাবে তাঁদের মধ্যে এক জনকে আদালত বেকসুর খালাস করেছে।

সোমবার সকালে পাঠানকোটে বিশেষ আদালতে শুরু হয় কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলার রায়দান। এর জেরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল পাঠানকোটে। চারিদিকে ছিল চাপা উত্তেজনা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল এক হাজার পুলিশকর্মী। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বম্ব স্কোয়্যাডকেও। গত ৩ জুন পাঠানকোটের বিশেষ আদালতে সাক্ষ্যদান প্রক্রিয়া শেষ হয়। ক্যামেরা বন্দি করে রাখা হয় গোটা প্রক্রিয়া। ১০ জুন রায় দানের দিন ঘোষণা করেন সদর দায়েরা আদালতের বিচারপতি তেজবিন্দর সিং। ঘোষণা অনুযায়ী ১০ জুন সোমবার সকালে কাঠুয়া কাণ্ডে ধৃত ৮ অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে পাঠানকোটের বিশেষ আদালত। মন্দিরের পুরোহিত সঞ্জি রামের ছেলে বিশালকে ছাড় দিয়েছে আদালত। আর পুরোহিতের ভাইপোর বয়স নিয়ে বিতর্ক থাকায় তাকে বিচার প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে সে নাবালক কিনা তা খতিয়ে দেখবে জম্মু-কাশ্মীরের হাইকোর্ট। তারপরই তাকে এই মামলার অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা তা ঠিক করা হবে। বাকি ছ’জন দোষীর বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, খুন এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে চার্জশিট জমা পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মন্দিরের মধ্যে থাকা সমস্ত তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য প্রধান পুরোহিত সঞ্জি রামের থেকে ৪ লাখ টাকা নিয়েছিল সাব ইনস্পেকটর আনন্দ দত্ত, হেড কনস্টেবল তিলক রাজ। আজ, সোমবারই দোষীদের সাজা ঘোষণা করতে পারে আদালত। দোষীদের কমপক্ষে যাবজ্জীবন এবং সর্বাধিক মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতে পারে।

২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি এক ভয়ঙ্কর খবর কেঁপে গিয়েছিল গোটা দেশ। উদ্ধার হয়েছিল ৮ বছরের এক কিশোরীর একেবারে ক্ষতবিক্ষত দেহ। জানা গিয়েছিল, জম্মুর কাছে কাঠুয়া জেলায় একটি মন্দিরে চারদিন ধরে (১০ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি) আটকে রাখা হয়েছিল ওই কিশোরীকে। চলেছিল লাগাতার ধর্ষণ। সঙ্গে নির্মম অত্যাচার। নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল ওই কিশোরীকে। ঘটনার তিনদিন পর ১৭ জানুয়ারি উদ্ধার হয় কিশোরীর দেহ। পুলিশ জানিয়েছিল, মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে কিশোরীর উপর টানা চারদিন ধরে পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছিল। বাচ্চাটিকে খেতেও দেওয়া হয়নি। এরপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাকে। এবং সে মারা যাওয়ার পর দেহ যাতে চিনতে পারা না যায় সে জন্য পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল কিশোরীর মুখ। এই নৃশংস ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল সারা দেশ। পরবর্তী সময়ে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এখন দোষীদের আদালত কী রায় দেয় সেটাই দেখার।

 

 

Exit mobile version