Site icon The News Nest

কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের জন্য মোদীকে ফের প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চান ইমরান

pm modi imran khan

ইসলামাবাদ: ভারতের নির্বাচনের ওপরে কড়া নজর রাখছে পাকিস্তানও। আর তাই মাঝেমধ্যেই নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে ওয়াঘার ওপার থেকে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিছুদিন আগেই তিনি বলেন যুদ্ধের জিগির তুলে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চাইছে বিজেপি। তবে এ বার তাঁর গলায় উলটো সুর। ভারত-পাক সম্পর্কের স্থায়ী সমাধানের জন্য মোদীকেই ফের প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চান ইমরান।

এক সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ”বিজেপি সরকার ফের ক্ষমতায় আসলে শান্তির পথ খুলতে পারে। কাশ্মীরের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানে আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারব। ভারত-পাক আলোচনার পথ খুলবে।” তবে কেন তিনি মোদীকে চাইছেন সেটাও যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ইমরানের মতে, কংগ্রেসের নেতৃত্ব যদি নতুন সরকার গঠন হয় ভারতে তাহলে তারা হয়তো ‘দক্ষিণপন্থীদের’ চাপে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তাঁর কথায়, “আমার মনে হচ্ছে বিজেপি, অর্থাৎ দক্ষিণপন্থী দলই ক্ষমতায় এলে কাশ্মীর নিয়ে কোনো সমাধানসূত্রে আসা যাবে।”

একইসঙ্গে মোদীকে তিনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ”ভারতে এই মুহূর্তে যেটা চলছে তা মেনে নেওয়া যায় না। ভারতে বসবাসকারী মুসলিমরা এতদিন পর্যন্ত সেখানে শান্তিতে বসবাস করত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পুরো আলাদা। ভারতে মুসলিম বিরোধী হাওয়া চলছে। উগ্র হিন্দুত্ববাদ সমস্যা বিগড়ে দিচ্ছে। এখন ভারতে বসবাসকারী মুসলিমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একইরকম বিদ্বেষমূলক আবহাওয়া রয়েছে ইজরায়েলে। এটা কিন্তু মনুষ্যত্বের জন্য খুব খারাপ বিজ্ঞাপন।” তাঁর কথায়, বহু বছর আগেও ভারতে যে মুসলিমদের হাসিখুশি দেখেছি, হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের দাপটে তারাও এখন চাপে রয়েছে। আসলে মোদী ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে কোনও ফারাক নেই। দু’জনের ভোট রাজনীতিই ‘ভয়ের পরিবেশ তৈরি ও জাতীয়তাবাদ’ নির্ভর। চলতি সপ্তাহেই তাদের ভোট ইস্তাহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাতে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের কথাও জানানো হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে ইমরান সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কাশ্মীরে জমি বাড়ি কেনা বাইরের লোকেদের জন্য খুলে দেওয়া হবে শুনছি। হতে পারে এটাও ভোটের জন্যই বলা হচ্ছে।ভারতের বিদেশমন্ত্রক বা প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় অবশ্য সরকারি ভাবে পাক প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারের জবাব দেয়নি।

ইমরান অবশ্য রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করতে তাঁর সরকার বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা শুরু করেছে ইসলামাবাদ। পাক সেনাও এ প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে রয়েছে। এমনকী সাক্ষাৎকারে ইমরান এও বলেছেন, পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাস বন্ধ করতেও তিনি উঠেপড়ে লেগেছেন। কারণ তা কাশ্মীরের মানুষেরও স্বার্থ এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সঙ্কট তৈরি করছে। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হলে, ভারতীয় সেনা তার জবাব দেয়। তাতে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে নিরীহ কাশ্মীরিদের।

 

Exit mobile version