#ইসলামাবাদ : কাশ্মীর-সহ অন্যান্য সমস্যা গুলির সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, দু’দেশের মানুষের দারিদ্রের মোকাবিলা এবং উন্নয়নের স্বার্থে আলোচনায় বসাই একমাত্র রাস্তা। শুধু ইমরানই নয়, নতুন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। চিঠিতে কুরেশিও জানিয়েছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের খুব দ্রুত আলোচনার টেবিলে বসা প্রয়োজন। ইমরানের এই চিঠি নিয়ে অবশ্য নয়াদিল্লির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
পুলওয়ামা হামলা নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতেই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে যথেষ্ট অবনতি হয়েছিল। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে এসেছিল ভারতের বায়ুসেনা। এরপর ভারতে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী সপ্তাহে কিরিগিজিস্তানের বিশকেকে সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যাচ্ছেন মোদী। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ইমরান খানও। ভারত থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই বৈঠকের এক ফাঁকে মোদী ও ইমরানের কথা হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তবে কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, আলোচনার টেবিলে না বসলেও দুই রাষ্ট্রনেতার একাধিক বার দেখা হবে বিশকেক-এ। হবে সৌজন্য বিনিময়ও। এই সম্মেলনের কয়েকদিন আগে ইমরান ও কুরেশির চিঠি তাৎপর্যপূর্ণ।
নরেন্দ্র মোদী নির্বাচিত হওয়ার পরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইমরান তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। দিল্লির বক্তব্য, পাকিস্তান যতদিন সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না করবে, ততদিন আলোচনা করে লাভ নেই। গত এপ্রিলে ইমরান বলেছিলেন, মোদী দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে এলে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। কংগ্রেস যদি নির্বাচিত হয়, তারা পাকিস্তান বা কাশ্মীর নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে পারবে না। তারা ভাববে, এর ফলে উলটো বিপত্তি হতে পারে।