ক্ষমতার লোভে পরির্করের ছাই ঠান্ডা হওয়া অবধি সময় দেওয়া হল না,জোটসঙ্গী বিজেপিকে কটাক্ষ শিবসেনার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মুম্বই: আবারও জোটসঙ্গী বিজেপির সমালোচনায় সরব হল জোটসঙ্গী শিবসেনা। গোয়ায় বিজেপির সরকার ঘটনার পদ্ধতিকে কটাক্ষ করা হয়েছে শিবসেনা মুখপাত্র সামনায়।

গোয়ায় যেদিন আস্থাভোটে বিজেপি জয়ী হল, সেদিনই শিবসেনার ‘সামনা’ পত্রিকায় লেখা হয়েছে, আর একদিন অপেক্ষা করলে সরকার পড়ে যেত। বিজেপি যে দু’জনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করেছে, তাঁদের একজন যোগ দিতেন কংগ্রেসে। কংগ্রেস সরকার গঠন করে উপযুক্ত পদ দিত তাঁকে। সেজন্যই বিজেপি তাড়াহুড়ো করেছে।সামনায় বিজেপিকে ধিক্কার দিয়ে বলা হয়েছে, ক্ষমতার লোভে তারা নির্লজ্জ হয়ে গিয়েছে। গোয়ার মাটিতে মনোহরের ছাই মিশে যাওয়ার আগেই তারা ক্ষমতার জন্য লড়াই শুরু করেছে। গণতন্ত্রের পক্ষে এখন খুবই দুর্দিন।

সামনায় কটাক্ষ করা হয়, মনোহরের চিতা যখন জ্বলছে, তখন ক্ষমতালোভীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করেছিল। আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করলে কী ক্ষতি হত? আসলে বিজেপি ভয় পাচ্ছিল, দেরি করলে কংগ্রেস দুই উপমুখ্যমন্ত্রীকে দলে টেনে নেবে।সেনা মুখপাত্রে  বিদ্রুপ করে আরও বলা হয়েছে, পরির্করের মরদেহের ওপরে যে গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো হয়েছিল, তা শুকনোর আগেই ক্ষমতালোভীদের কর্মসূচি স্থির হয়ে গিয়েছিল। ক্ষমতায় থাকার জন্য বিজেপি দু’জনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করল। গোয়ার মানুষ অসহায়ভাবে সব দেখে গেলেন।সামনায় দাবি করা হয়েছে, গোয়ার মানুষ এখনও পরির্করের জন্য শোক পালন করছেন। প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর জন্য একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু যতদূর মনে হচ্ছে, ক্ষমতালোভীদের ধারণাই নেই পতাকা অর্ধনমিত থাকা বলতে কী বোঝায়।

বিজেপি চার বছর আগে ঘোষণা করেছিল, মহারাষ্ট্রে কাউকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হবে না। তাই শিবসেনাকে ওই পদ দেওয়া হয়নি। কিন্তু পরে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, সব রাজ্যেই উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। শেষে গোয়ায় দু’জনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বিষয়টিই ভালভাবে নিতে পারছেন না উদ্ভব ঠাকরে। সেই কারণেই বিদ্রুপ বাণে হানা হচ্ছে বিজেপিকে।

উল্লেখ্য,রবিবার বিজেপির জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের মৃত্যুর পর থেকেই গোয়ার দখল নিয়ে শুরু হয় চরম দ্বন্দ্ব। নতুন দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হয়ে ওঠেন বিজেপি শরিক এবং নির্দল বিধায়কেরা। অন্য দিকে বিধানসভার বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গঠনের দাবি তোলে কংগ্রেসও।পরিস্থিতি সামাল দিতে শরিক এবং নির্দল বিধায়কদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠকে বসে বিজেপি।শেষপর্যন্ত প্রমোদ সাওয়ান্তের নাম চূড়ান্ত হয়। সোমবার গভীর রাতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। বুধবার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা হবে বিজেপির। এদিন আস্থা ভোটে জয় হয়েছে তাঁর।মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্ত পার্টির সুদীন ধাবালিকর এবং গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির বিজয় সারদেশাই মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবি করেছিলেন। পরে দুজনকেই উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়।শুধু তা-ই নয়, সমর্থনকারী নয় বিধায়কের মধ্যে আট জনকেই মন্ত্রী করতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও স্বস্তি ছিল না বিজেপির। এত দিন যে চিন্তা গুজরাত এবং কর্নাটকে কংগ্রেসকে করতে হয়েছে, সেটাই এ বার গোয়া বিজেপিকে করতে হয় । তাদের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিতে পারে কংগ্রেস, এই আশঙ্কা থেকেই মঙ্গলবার রাতে বিধায়কদের ৫-তারা রিসর্টে পাঠিয়ে দিয়েছিল বিজেপি।

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest