#কলকাতা: রাজ্য গুলিকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করার ‘ক্ষমতা’ নেই বলে নীতি আয়োগের বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে বৈঠকে বসবে নীতি আয়োগ। সেই বৈঠকে হাজির না থাকার কথা চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন মমতা। তবে সেই চিঠিতে তাঁর স্বাক্ষর নেই বলে জানা গিয়েছে।
১৫ তারিখ বৈঠকে বসবে নীতি আয়োগ। সদস্য হিসেবে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরই সেখানে হাজির থাকার কথা। কিন্তু মমতা জানালেন তিনি যাবেন না। মোদী সরকারের প্রথম দফার কার্যকালে পরিকল্পনা কমিশনের বদলে এই নীতি আয়োগ তৈরি হয়। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘সকলেই জানেন নীতি আয়োগের কোনও আর্থিক ক্ষমতা নেই। রাজ্যগুলির কোনও প্রকল্পকে সাহায্য করার ক্ষমতাও দেওয়া হয়নি নীতি আয়োগের হাতে। তাই আগামী সপ্তাহের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কোনও কারণই আমি খুঁজে পাচ্ছি না। এই প্রথম নয় এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে গড়হাজির থেকেছেন তিনি। এর আগেও প্ল্যানিং কমিশনের অবলুপ্তি নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মোদীর ডাকা বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রায় যানই না। হয় অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র কিংবা অন্য কোনও প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে দেন। গত কয়েক বছরে নীতি আয়োগ ও জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের অধিকাংশ বৈঠকেই যাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে গত বছর একটি বৈঠকে গিয়েছিলেন। বৈঠকের আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সঙ্গে কেরালা হাউসে বৈঠকও করেছিলেন।
প্রথমে দ্বিতীয় মোদী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরে সাংবিধানিক অনুষ্ঠানে বিজেপি রাজনীতি করছে অভিযোগ করে দিল্লি যাত্রা বাতিল করেন মমতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেমন সমন্বয় মূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পক্ষে সওয়াল করেন তেমন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও বারবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত চলছেই। আরও একটি বৈঠকে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী।