Site icon The News Nest

খরাদীর্ণ চেন্নাই! ভেলোর থেকে ২৫ লক্ষ লিটার জল নিয়ে রওনা দিল ৫০ ওয়াগনের বিশেষ ট্রেন

Water trainjpeg

#ভেলোর: ২৫ লক্ষ লিটার জল নিয়ে তৃষ্ণার্ত চেন্নাইযের দিকে ছুটল ৫০ ওয়াগানের বিশেষ ট্রেন। শুক্রবার সকালে  ভেলোরের জোলারপেট স্টেশন থেকে জল ভরে ট্রেনটি রওনা দিয়েছে চেন্নাইয়ের দিকে। পৌঁছবে বিকেলে।  সাদার্ন রেলওয়ে জানিয়েছে, দ্বিতীয় আর একটি ট্রেনও জল নিয়ে প্রস্তুত। প্রথমটি ফিরে আসার পর, যাত্রা শুরু করবে দ্বিতীয়টি।

প্রায় জলশূন্য চেন্নাই। ভূগর্ভস্থ জলস্তরের ক্রমাগত নেমে যাওয়া এবং বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহারে ব্যর্থতা, সব মিলিয়েই দেশের ‘ওয়াটার স্ট্রেসড সিটি’-র তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে চেন্নাই। শুকিয়ে গিয়েছে শহরের জলাধারগুলি। পানীয় জলের জন্য এলাকার কুয়োই এখন ভরসা চেন্নাইবাসীর। বহুজাতিক সংস্থা থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁ সর্বত্রই জল-খরচে রাশ টানার মরিয়া চেষ্টা চলছে। জল সঙ্কটের কারণে শহরের বেশকিছু স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা তাদের কর্মীদের ঘর থেকে বসে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেলে জল সরবারহে রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চেন্নাই মেট্রো ওয়াটার তার রিপোর্টে জানিয়েছে, জলসঙ্কট মেটাতে প্রতি দিন প্রায় ১ কোটি লিটার জল আমদানি করা প্রয়োজন।

কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী ঘোষণা করেছিলেন, চেন্নাইয়ে নিয়ে আসা হবে রোজ ১ কোটি লিটার জল। ওই জল সরবারহ করা হবে চেন্নাইয়ে শুখা এলাকায়। এর জন্য ইতিমধ্যেই ওই কাজ করার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। বর্তমানে চেন্নাইয়ে জল সরবারহ করে মেট্রোপলিটান ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়েজ বোর্ড। জোলারপেট থেকে জল নিয়ে যেতে রোজ খরচ হবে রোজ সাড়ে আট লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার ওই ট্রেনটির চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওয়াগনের ভাল্বে লিক থাকায় যাত্রা পিছিয়ে দেওয়া হয়। রেল সূত্রে খবর, জল ভর্তি এই ট্রেন পৌঁছবে ভিল্লিভাক্কাম স্টেশনে। সেখান থেকে জল পাম্প করা হবে কিলপক ওয়াটার ওয়ার্কস পাম্পিং স্টেশনে। এই পাম্পিং স্টেশনের মারফৎ জল পৌঁছে দেওয়া হবে গোটা শহরে। ফি দিন ভেলোর থেকে চেন্নাই পৌঁছতে এই ট্রেনের সময় লাগবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা।

মূলত উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে অক্টোবরে চেন্নাইয়ে বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, গত বছরের শেষ তিন মাসে দক্ষিণের এই শহরে অত্যন্ত কম বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যে প্রধান চারটি জলাধার থেকে চেন্নাইয়ে জল সরবরাহ হয়, সে গুলিতে গত বছরের তুলনায় এখন একশো ভাগের এক ভাগ জল রয়েছে। জনসংখ্যার নিরিখে চেন্নাইতে প্রতিদিন প্রায় ৮৩ কোটি লিটার জলের প্রয়োজন হয়। এই ট্রেন চলাচলে সেই বিপুল ঘাটতি না মিটলেও, অন্তত ৫৩ কোটি লিটারের কাছাকাছি জল সঞ্চয় করা সম্ভব হবে।

Exit mobile version