পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৭ জনের। শনিবার সকালে হিমাচলে খাদে পড়ে যায় একটি স্কুল বাস। চালক সহ মৃত্যু হয় ৬ শিশুর। আহত ১২।
ঘন কুয়াশার কারনে এখন হিমাচলে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৮ টা নাগাদ ডিএভি স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে সিরমাউর জেলার সাংরাহ গ্রামে। সিরমাউর-এর পুলিশ সুপার রোহিত মহিপাল জানিয়েছেন,ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় -সমীর (৫), আদশ (৭), কার্তিক (১৪) ও বাস চালক রামের (৪০)। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় – অভিসেক, তার বোন সঞ্জনা ও নৈতিক চৌহানের। আহত ১২ জনের মদ্ধ্যে ১০ জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। তারা হল – সন্ধ্যা, রাকশিতা, অঞ্জলি, রাজীব, আয়ুশ, বৈষ্ণবী, ধ্রুব, মান্নাত,আরুশি ও সুন্দর সিং। কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সিরমাউর জেলা হিমাচলের রাজধানী সিমলা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি খাদে পড়ে একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। উদ্ধারকারীরা সহজে বাসের ভিতর থেকে দেহগুলি বার করতে পারছিলেন না।
এই শীতে কুয়াশায় ঢেকে আছে রাজধানী দিল্লি সহ উত্তর ভারত। তাতে আরও দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে পাঞ্জাবের আম্বালা-চণ্ডীগড় জাতীয় সড়কে কুয়াশায় দু’টি ট্যাভেরা গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। মারা গিয়েছেন সাতজন। গুরুতর আহত আরও পাঁচ আরোহী।
মৃতদের মধ্যে আছেন আশা রানি (৪৫), কবিতা কাপুর (৩৬), তাঁর দুই মেয়ে হর্ষিতা (৯) ও রঞ্জনা (১৮)। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। চণ্ডীগড়ের সেক্টর ৩০-এ থাকেন। এছাড়া চণ্ডীগড়ের সেক্টর ২৬-এর বাসিন্দা পীযূষ নামে এক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। দু’টি গাড়ির চালক সুরেশ (৪৩) ও মনোজ (৪২) মারা গিয়েছেন। আম্বালার পুলিশ সুপার আস্থা মোদী জানিয়েছেন, দু’টি গাড়ি চণ্ডীগড় থেকে আসছিল। একটি গাড়ির চালক গাড়ি থামিয়ে পরীক্ষা করছিলেন কোথাও তেল লিক করছে কিনা। অপর গাড়িটি দাড়িয়েছিল তার ১৫ মিটার দূরে। একটি অজ্ঞাতপরিচয় গাড়ি প্রথমে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িকে ধাক্কা মারে। সেই গাড়িটি ধাক্কা মারে যার তেল লিক করছিল সেই গাড়িকে।
ঘাতক গাড়ি ধাক্কা মেরেই পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পড়ে আছে তার একটি হেডলাইট ও প্ল্যাস্টিকের বাম্পার। তা দেখে গাড়ির সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে আশপাশে কোনও সিসিটিভি ছিল কিনা। শুক্রবার সকালে বিহারেও কুয়াশায় মুজফফরনগর জেলায় দু’টি দুর্ঘটনা হয়েছে। মারা গিয়েছেন পাঁচজন। এছাড়া কুয়াশায় রাস্তা দেখতে না পেয়ে লখনউ-বারাউনি জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে পড়েছে অনেক গাড়ি।