#নয়াদিল্লি: প্রতাপচন্দ্র সারঙ্গি। মোদী মন্ত্রীসভায় ৫৬তম মন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন ওড়িশার বালেশ্বরের নবনির্বাচিত সাংসদ। তার পরেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। সাধারণ জীবনযাপনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন তিনি।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং পশুপালন, ডেয়ারি ও মৎস্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া সারঙ্গি থাকেন কুঁড়েঘরে। ‘ওড়িশার মোদী’ নামে পরিচিত সারঙ্গি আদিবাসী শিশুদের জন্য অন্তত ১০০টি স্কুল চালু করেছেন তিনি। ভোটের আগে সাইকেলে চেপে প্রত্যন্ত এলাকায় প্রচারে গিয়েছেন। কিন্তু রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই সারঙ্গির বিরুদ্ধে ভয়াবহ কিছু অভিযোগ রয়েছে। খুন, দাঙ্গাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। ওড়িশার ইতিহাসে অন্যতম ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে তাঁর।১৯৯৯ সালে কেওনঝড়ে খুন হন গ্রাহাম স্টেইনস ও তাঁর দুই শিশুপুত্র। তাঁদের গাড়ির ভেতরে রেখে সেই গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বজরং দলের। সেই সময়ে বজরং দলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন প্রতাপ। মূল অভিযুক্ত দারা সিংহের যাবজ্জীবন জেল হলেও তদন্তে রেহাই পেয়ে যায় বজরং দল।
২০০২ সালে ওড়িশার বিধানসভা ভবনের সামনে ভাঙচুর চালায় কয়েকটি দক্ষিণপন্থী সংগঠন। গ্রেফতার হন আরএসএসের এই একনিষ্ঠ কর্মী। এ ছাড়াও দাঙ্গা, অগ্নিকাণ্ড, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। মোট সাতটি মামলায় অভিযুক্ত তিনি। যদিও সব অভিযোগের কথাই অস্বীকার করেছেন সারঙ্গি।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বালাসোরের বিধায়ক। সেখানেই তাঁকে এই মামলাগুলির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। সারঙ্গি বলেন, “এই সব কেস সাজানো হয়েছিল মিথ্যে অভিযোগকে কেন্দ্র করে। আমি পুলিশের দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার প্রতিবাদ করেছিলাম বলে পুলিশ ইচ্ছে করে এই মামলা সাজিয়েছিল। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সামাজিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সেইজন্য অনেক ক্ষমতাবান মানুষের কাছে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছি। তাই আমার নামে এইসব মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক মামলায় নিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। বাকিগুলোও প্রমাণিত হবে।” এমনকী গ্রাহাম স্টয়নিস ও তাঁর দুই সন্তানের খুনের সঙ্গেও তাঁর কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন সারঙ্গি।