Site icon The News Nest

খুশির মাপকাঠিতে ইমরানের পাকিস্তানের কাছে হার মোদীর ভারতের

Unhappy

নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক:বুধবার ছিল ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ডে’। আর সে দিনই রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ প্রকাশিত হলো। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় ভারতীয়দের মধ্যে খুশির পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। ২০১৮ সালে বিশ্বের সবথেকে খুশি দেশের তালিকায় ভারত ছিল ১৩৩ নম্বরে। এ বছর আরও সাত ধাপ নেমে ভারতের স্থান ১৪০।

জাতিসংঘের জন্য তৈরি এই হ্যাপিনেস রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর ১৫৬টি দেশ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এই বছরের প্রতিবেদন তৈরি হয়।তালিকা অনুযায়ী গত বছরের মতো এ বছরও শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। তারপর যথাক্রমে ডেনমার্ক, নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস রয়েছে। এই সবগুলি দেশই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এলাকা বা তার আশেপাশের দেশ। এই তালিকা অনুযায়ী অবশ্য পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও চিন ভারতের আগে রয়েছে। বিশ্বের সবথেকে খুশি দেশের তালিকায় পাকিস্তানের স্থান ৬৭, চিনের ৯৩ ও বাংলাদেশের স্থান ১২৫।

এই প্রতিবেদনে ছয়টি তথ্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল।সেগুলি হল -একটি দেশের জনগণের আয়, স্বাধীনতা, বিশ্বস্ততা, আয়ু, সামাজিক সহযোগিতা এবং উদারতা। দেশে উন্নয়ন ও বিকাশের বহু গল্প শোনা গিয়েছে গত ৫ বছর ধরে। দেশপ্রেমে উদ্দীপনা সঞ্চারিত করার চেষ্টাও হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে লাগাতার ধাক্কা খাওয়া সত্বেও দেশের মানুষ রসে বসে রয়েছেন এমনই প্রচার করেছে কেন্দ্রের অতি কাছের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। দেখা গেল খুশির মাপকাঠিতে মোদীর ভারতকে বহু পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল ইমরানের পাকিস্তান।খুশির মাপকাঠিতে প্রতিবেশী বাংলাদেশ টেক্কা দিয়েছে আমাদের । চীনের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটা নেই বলে নানা কথা শোনা গেলেও চিনা জনগণ কিন্তু আমাদের থেকে বেশি খুশি। প্রশ্ন উঠছে দেশের জনগণের মুখ এমন রামগরুড়ের ছানার মতো কেন ? ওয়াকিবহাল মহলের মোতে, বিদ্বেষ যদি কোন দলের রাজনৈতিক এজেন্ডা হয় তাহলে সে দেশের মানুষের মনে খুশি কমে আসতে বাধ্য।তারই প্রভাব পড়েছে এদেশেও।

 

Exit mobile version