Site icon The News Nest

গডসে ‘দেশভক্ত’ মন্তব্যের জের, ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামলেন অমিত শাহ, ৩ বিজেপি নেতাকে শো’কজ

ANANTH KUMAR HEGDE 2

#নয়াদিল্লি: নাথুরাম গডসে বিতর্কে অবস্থান বদল বিজেপির। অপেক্ষাকৃত কড়া অবস্থান নিয়ে ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে এবং কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ নলিন কুমার কাতিলকে ডেকে পাঠাল দল। তিন দিনের মধ্যে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সামনে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বললেন অমিত শাহ।

বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার তথা মাকাল নিধি মাইয়াম (এমএনএম) প্রধান কমল হাসন। তিনি বলেছিলেন, দেশের প্রথম সন্ত্রাসবাদী নাথুরাম গডসে। এর পরই বিজেপি নেতা-নেত্রীরা এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে গান্ধী হত্যাকারী গডসের পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেন। এমনকি, গডসের চেয়েও রাজীব গান্ধী বড় ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেও টুইটারে আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। তার মধ্যেই সাধ্বী প্রজ্ঞা কয়েক কদম এগিয়ে গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বলে টুইট করে বসেন।

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে সাধ্বী প্রজ্ঞা মন্তব্য করেছিলেন, “গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসে দেশভক্ত ছিলেন, আছেন ও সারাজীবন থাকবেন।” প্রজ্ঞার করা এই মন্তব্যের পরেই সব বিরোধী দলের থেকে সমালোচনা শুরু হয়। কংগ্রেসের পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া বলেন, “এই ধরণের মন্তব্য বিজেপির সামগ্রিক মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে। এই মন্তব্য করার পর ক্ষমা চাইতে হবে প্রজ্ঞাকে।” মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বলেন, সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এমনকী বিজেপির তরফে দলের মুখপাত্র জি ভি এল নরসিমা রাও সাংবাদিক সম্মেলন করে সাধ্বীর মন্তব্যের নিন্দা করেন ও তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেন। তারপরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে মালেগাঁও বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রজ্ঞা বলেন, “এটা আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য ছিল। কাউকে আঘাত দেওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার ছিল না। আমার মন্তব্যে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। গান্ধীজি এই দেশের জন্য যা করেছেন, তা কেউ ভুলতে পারবে না। আমার মন্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।” তারপরে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে আবার ক্ষমা চান প্রজ্ঞা। হিন্দিতে টুইট করে তিনি লেখেন, “নাথুরাম গডসেকে নিয়ে আমার মন্তব্যের জন্য দেশের মানুষের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। আমার মন্তব্য ভুল ছিল। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি।”

কিন্তু তার আগেই টুইট করে দিয়েছিলেন হেগড়ে এবং কাতিল। দক্ষিণ কর্নাটক কেন্দ্রের সাংসদ কাতিল লিখেছিলেন, ‘‘গডসে এক জনকে হত্যা করেছিলেন, কাসভ (২৬/১১ মুম্বই হামলায় ধৃত ও ফাঁসি হওয়া জঙ্গি) ৭২ জনকে এবং রাজীব গান্ধী ১৭ হাজার মানুষকে খুন করেছিলেন। আপনারাই বিচার করুন কে সবচেয়ে নিষ্ঠুর।’’ অন্য দিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেগড়ের টুইট ছিল, ‘‘যাঁকে শুধুই ঘৃণা করা হয়েছে, সাত দশক পরেও যে তাঁকে নিয়ে অন্য রকম ভাবনা শুরু হয়েছে, তাতে আমি খুশি। এই বিতর্কে শেষ পর্যন্ত নাথুরাম গডসে খুশি হবেন।’’  কিন্তু বৃহস্পতিবারের ওই টুইটগুলি পরের দিনই উধাও হয়ে যায়।

 

Exit mobile version