লখনউ: উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের কিছু জায়গায় ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। আর তার প্রতিবাদে স্ট্রং রুমের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। পূর্ব উত্তর প্রদেশের গাজিপুরের বিএসপি প্রার্থী প্রার্থী আফজাল আনসারী স্ট্রং রুমের বাইরে অবস্থানে বসেন। তিনি ও তাঁর সহযোগীদের দাবি ইভিএমে কারচুপির চেষ্টা হয়েছে। তবে তাঁর অভিযোগ মানতে রাজি হয়নি পুলিশ। আফজালের দাদা মুক্তার আব্বাস আনসারী উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত মাফিয়া। বেশ কিছু অভিযোগ মাথায় নিয়ে আপাতত জেলে রয়েছে সে। এ হেন আফজলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহা। বেশ কিছুটা সময় চলার পর প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে অবস্থান প্রত্যাহার করে নেন আফজল। পুলিশের তরফে বলা হয় ইভিএমের স্ট্রং রুমে যাতে কেউ ঢুকতে না পারে তার ব্যবস্থা হবে।
The apprehensions regarding EVMs are baseless. EVMs are in strong room with 24×7 CISF security. And candidates have been allowed to post their agents to monitor the strong room.
— DM_Ghazipur (@AdminGhazipur) May 21, 2019
আজ সকালে মোবাইলে তোলা ভিডিও সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়। সেটি উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলিতে তোলা। তাতে দেখা যাচ্ছে গণনা কেন্দ্রের মধ্যে একটি গাড়ি থেকে ইভিএম গুলি নামানো হচ্ছে। তারপর সেগুলিকে একটি ঘরে রাখাও হচ্ছে। ভিডিও যিনি তুলেছেন তিনি সমাজবাদী পার্টির সমর্থক। তাঁর কণ্ঠ ধরা পড়েছে ভিডিওতে। ইভিএম সরানো হল কেন তা তিনি জিজ্ঞেস করছেন। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে তাদের কাছে কয়েকটি বাড়তি ইভিএম পাঠানো হয়েছিল। সপ্তম দফায় ভোটে আগে সেগুলি জেলার কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছিল। বিহারে বিরোধী আরজেডি একটি ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে অভিযোগ করেছে, সরণ অঞ্চলে এক জায়গায় ইভিএম পাচার হচ্ছিল। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের অভিযোগ, উত্তর ভারতের সর্বত্র দেখা যাচ্ছে, ভোটযন্ত্র এক জায়গা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র। এই সংক্রান্ত কয়েকটি ভিস্যুয়ালও দেখা গিয়েছে। এর ফলে অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। নির্বাচন কমিশন বিবৃতি দিয়ে জানাক, কেন এমন হচ্ছে।
Visuals and claims of sudden movement of EVMs observed across the north India! Why is it so? Who is transporting these EVMs & Why? What is purpose and objective of this exercise? In order to avoid any confusion & misconception, Election Commission must issue a statement ASAP.
— Tejashwi Yadav (@yadavtejashwi) May 20, 2019