#জয়পুর: দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব ছিলই। এ বার তা এক্কেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। লোকসভা নির্বাচনে রাজস্থানে কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের পদত্যাগ দাবি করে বসলেন দলেরই এক বিধায়ক।
কয়েক মাস আগে রাজস্থানের মসনদে কংগ্রেস বসলেও, লোকসভায় সব ক’টা আসনেই হেরেছে তারা। তার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের ভেতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হারের দায় নিয়ে গহলৌতের ইস্তফা দেওয়া উচিত বলেও দলের ভেতরে মত প্রকাশ করছিলেন অনেকে। এ বার তা এল প্রকাশ্যে। কংগ্রেসের তরুণ বিধায়ক পৃথ্বীরাজ মিনা বলে দিলেন, “সচিন পায়লটকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত। অশোক গহলৌতের সেই প্রভাব এখন আর নেই।” তিনি আরও বলেন, ‘‘ভোটের ফলাফলেই বোঝা গিয়েছে অশোক গহলৌতের উপর আর ভরসা নেই রাজ্যের মানুষের। এ বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত সচিন পায়লটের।’’ রাজস্থানের তোড়া ভিম আসনের বিধায়ক মীনা এও বলেছেন, ‘‘বয়সে তরুণ সচিন আরও ভাল কাজ করতে পারবেন।’’ তিনি মনে করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত রাজ্যের জাঠ ও গুজ্জর শ্রেণির ভোটারদের একসূত্রে বেঁধে রাখতে পারেননি।
পূর্ব রাজস্থানের মীনা উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে পৃথ্বীরাজের প্রভাব দীর্ঘ দিনের। ভোটের পর থেকেই মীনা সম্প্রদায় সরব হয়েছে গহলৌতের বিরুদ্ধে। ওই সম্প্রদায়ের আরও দুই কংগ্রেসি বিধায়ক রমেশ মীনা ও উদয়লাল অঞ্জনা এর আগে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের নামোল্লেখ না করে বলেছেন, ‘‘কার জন্য এমন হল, এ বার সেটা বেছে নেওয়ার সময় এসেছে।’’ উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে কংগ্রেস রাজস্থানে ক্ষমতায় এলেও প্রথম থেকেই দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। এক দিকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে, দলের জয়ে মুখ্য কারিগর ছিলেন পায়লট। অন্য দিকে ছিলেন প্রবীণ নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতা থাকা গহলৌত। দু’জনের মধ্যে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেটা ঠিক করতে কালঘাম ছোটে কংগ্রেসের। শেষে রাহুল গান্ধীকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। গহলৌতকে মুখ্যমন্ত্রী করে পায়লটকে উপমুখ্যমন্ত্রী করেন তিনি।
তবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময়ে গহলৌতের দাবি ছিল, লোকসভা নির্বাচনে তিনি নিজের দায়িত্বে কংগ্রেসের ভালো ফল করাবেন। কিন্তু সেটা যখন হয়নি, তখন কংগ্রেস গহলৌতের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় কি না, সেটাই দেখার।