Site icon The News Nest

গান্ধীনগরে মনোনয়নপত্র জমা অমিত শাহের, এনডিএ নেতাদের নিয়ে রোড শো করে শক্তিপ্রদর্শন

amit

গান্ধীনগর: টানা ২০ বছর এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। তার আগে ৯৬-তে সাংসদ ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। সেই গান্ধীনগর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে আজ মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ। ওই কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পেরে তিনি যে যারপরনাই খুশি, তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট। অমিত শাহ বলেন, “গান্ধীনগর থেকেই লড়ে সাংসদ হয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, অটলবিহারী বাজপেয়ী। এই কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত খুশি আমি।”

সপ্তাহখানেক আগে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় জানা যায়, গাঁধীনগর থেকে এ বার আ়ডবাণীর পরিবর্তে দাঁড়াচ্ছেন অমিত শাহ। তার পর থেকেই বিজেপি সভাপতির আগমন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল গাঁধীনগরে। সেই মতো এ দিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে, সকালে হুডখোলা ট্রাকের মাথায় চড়ে, আমদাবাদের নারানপুরায় সর্দার পটেলের মূর্তির পাদদেশ থেকে ঘটলোডিয়ার পতিদার চক পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার পথসভা করেন অমিত শাহ।রাজনাথ সিংহ, নীতিন গডকরীদের নিয়ে জনসভা করেন। সেখানে শাহজানান, অটলবিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আডবাণীর কেন্দ্র গাঁধীনগর। সেখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারাটা সৌভাগ্যের বিষয়। দেশের সমস্ত নির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যে গাঁধীনগর সবচেয়ে উন্নত। আডবাণীর মতাদর্শ মেনে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সবরকম প্রচেষ্টা তিনি করবেন বলেও জানান তিনি। শাহ বলেন, ‘‘এ বারের নির্বাচনে শুধুমাত্র একটাই লক্ষ্য, কেন্দ্রে ফের নরেন্দ্র মোদীকেই ক্ষমতায় বসানো। দ্বিতীয়বার তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিতে হবে দেশবাসীকে।’’নির্বাচনে মোদী জেতা নিয়ে তিনি নিশ্চিত বলেও দাবি করেন। সেই সঙ্গে গুজরাতের ২৬টি লোকসভা কেন্দ্রেই বিজেপিকে জয়ী করতে অনুরোধ জানান সাধারণ মানুষকে।

দুপুর একটা নাগাদ মনোনয়নপত্র জমা দেন অমিত শাহ। সে সময় উপস্থিত ছিলেন নিতিন গডকড়ী, রাজনাথ সিং, উদ্ধব ঠাকরে-সহ এনডিএ-র শীর্ষ নেতারা। উদ্ধবের উপস্থিতি নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হলে নিজেই তাতে জল ঢালেন। তিনি বলেন, “আমি জানি, অনেকেই আমার উপস্থিত দেখে অবাক হয়েছেন। কেউ বা খুশিও হয়েছেন। বিজেপির সঙ্গে মতপার্থক্য থাকলেও পিছুন থেকে ছুরি মারা আমাদের সংস্কৃতিতে নেই। যা ভাল মনে করি, সেটাই আমরা করি।” পর্যবেক্ষকদের মতে, অমিতের মনোনয়ন দেওয়ার সময় এতজন নেতাকে হাজির করিয়ে বিজেপি একটি বার্তা দিতে চায়, তা হল দলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরে অমিতই পার্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

২০১৭ রাজ্যসভায় গুজরাত থেকে বিজেপির সাংসদ নির্বাচিত হলেও, এই প্রথম লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন অমিত শাহ। তাও আবার গত তিন দশক ধরে বিজেপির দখলে থাকা গান্ধীনগর থেকে, যা এতদিন লালকৃষ্ণ আডবাণীর নির্বাচনী কেন্দ্র বলে পরিচিত ছিল। ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের জিআই পটেলকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে প্রথমবার গান্ধীনগর থেকে জয়ী হয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। ১৯৯৬ সালে ওই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন অটলবিহারি বাজপেয়ী।  ১৯৯৮ সালে ফের গান্ধীনগরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জয়ী হন আডবাণী। তার পর ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালেও সেখান থেকে জয়ী হন। গতবার ৪ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন তিনি।

Exit mobile version