Site icon The News Nest

 গোয়া ছিনিয়ে নিতে পারে কংগ্রেস, আশঙ্কায় জরুরি বৈঠকে বিজেপি

parrikar 2

পানাজি : মনোহর পারিক্কর অত্যন্ত অসুস্থ।আমরা তাঁর জন্য প্রার্থনা করছি। এই প্রথম গোয়া বিজেপির কোনো নেতার মুখ থেকে শোনা গেল এমন কথা।শনিবারই রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহার কাছে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। লোকসভা ভোটার আগে রাজ্য হাতছাড়া হতে পারে এই আশঙ্কায় রাতেই জোটসঙ্গীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে বিজেপি। সেখানেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা হয় বলে সুরের খবর।

মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্করের অসুস্থতা ও সম্প্রতি শাসকদলের বিধায়ক ফ্রান্সিস ডি’সুজার মৃত্যু পর রাজ্যে সরকার গঠনে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে রাহুল গান্ধীর দল৷ সময় নষ্ট না করে রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহাকে চিঠি লিখে সংখ্যালঘু বিজেপিকে সরিয়ে সরকার গঠনের জন্য একক বৃহত্তম দল কংগ্রেসকে আহ্বান করার দাবি জানান বিরোধী দলনেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকর৷

ওই চিঠিতে কাভলেকর লেখেন, “বিজেপি বিধায়ক ফ্রান্সিস ডি’সুজার অকালপ্রয়াণের ফলে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। তবে একটি কথা অত্যন্ত বিনীতভাবে জানাতে চাই যে, মনোহর পারিক্করের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বহু আগেই মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। এবার তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতাও হারি ফেলল। এছাড়া, আমাদের মনে হচ্ছে, বিজেপি বিধায়কদের সংখ্যা আরও কমতে পারে। তাই আমাদের অনুরোধ, বর্তমান বিজেপি সরকারকে ভেঙে দিয়ে আপনি কংগ্রেসকে সরকার গড়ার দায়িত্ব দিন”।

রাজ্যপালকে চিঠি লিখে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা নিয়েও সতর্ক করে দেন বিরোধী দলনেতা ৷ জম্মু কাশ্মীরের মতো রাজ্যপাল যদি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেন সেই চিন্তা মাথায় আছে কংগ্রেসের৷ চিঠিতে বিরোধী নেতা লেখেন,রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলে তা অনৈতিক ও আইনবিরুদ্ধ সিদ্ধান্ত হবে৷ কংগ্রেস তখন রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাবে৷এই মুহূর্তে গোয়া বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের সংখ্যা ১৩জন। অন্যদিকে, কংগ্রেসের বিধায়কের সংখ্যা ১৪ জন। ৪০ আসনে গোয়া বিধানসভার তিনটি আসন এখন শূন্য।

রাজ্যপাল সময় না দিলেও কংগ্রেসের এই অতি তৎপরতায় কপালে ভাঁজ পরে বিজেপির। রাতে তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়।বৈঠকে যোগদানের আগে ডেপুটি স্পিকার ও বিজেপি নেতা মাইকেল লোবো জানিয়েছেন, ‘পারিক্করজি ভালো নেই।চিকিৎসকদের করা নজরদারিতে আছেন উনি। পারিক্করজি ভালো হয়ে যাবেন এরকম বলার আর অবস্থা নেই। সেই কারণেই জরুরি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে আগামীদিনের পরিকল্পনা করতে হচ্ছে আমাদের।’

তবে পারিক্করকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন লোবো। তাঁর কথায়, ‘উনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন,আছেন আর থাকবেন।আমরা উনার জন্য প্রার্থনা করছি। কিন্তু ভাল হয়ে উঠবেন, একথা আর জোর গলায় বলার জায়গা নেই। উনি খুবই অসুস্থ। আমরা জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি ও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে কথা বলবো বিষয়টি নিয়ে। খারপ কিছু হলে বিজেপি থেকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কবে হবেন সেটা শুধুই ঈশ্বর জানেন।’

 

Exit mobile version