গ্লাভস পরে করমর্দন! জনতাকে অচ্ছুৎ মনে করছেন মিমি, দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায়!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: ভোটের মুখে বিতর্কে জড়ালেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। প্রচারে গিয়ে তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন, যার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো রোষের মুখে পড়েছেন তিনি। নির্বাচনের বাজারে সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ভোটের প্রচারে গিয়ে জনসাধারণের সঙ্গে গ্লাভস পরে হাত মেলাচ্ছেন অভিনেত্রী। বিতর্কের সূত্রপাত এই ছবি থেকেই।

নেটিজেনরা বলছেন, যে গ্লাভস পরে সবার সঙ্গে হাত মেলান, তিনি জনপ্রতিনিধি হবেন! এখনই যদি এমন অবস্থা হয় পরে তো তবে এই জনপ্রতিনিধির টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমন সব ট্রোলে এখন সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ছবির সত্যতা অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে এই ছবিটি অনেক পুরনো। ভোটের সময় সেই পুরনো ছবি খুঁজে বের করে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কুৎসা করছে বিরোধীরা। কারণ মিমি তো ইতিমধ্যেই অনেক জায়গায় প্রচার চালিয়েছেন। তখন তো কই গ্লাভস পরেননি। কিন্তু তূণমূলের এই বক্তব্যের পরও রোষের আঁচ কিছুমাত্র কমেনি। আপাতত ট্রোল, কমেন্ট পালটা কমেন্টে সোশ্যাল সাইটে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব।

বিজেপি সদস্য মেজর সরেন্দ্র পুনিয়া মিমির বিতর্কিত ছবিটি শেয়ার করে টুইটারে লিখেছেন, দুঃখজনক ও বিরক্তিকর। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী দলিত ও গরীব ভোটারদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন হাতে গ্লাভস পড়ে। ভারতীয গণতন্ত্রে সংসদে এই ধরণের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার কোনও অধিকার নেই। ইংল্রান্ডের রাণীর হাতে গ্লাভস পরে সকলের সঙ্গে করমর্দনের কথা উল্লেখ করে মেজর সুরেন্দ্র লিখেছেন, ওরা কি অস্পৃশ্য ? তবে মিমি এ ব্যাপারে কোনও কথা না বললেও তার টিমের সদস্যরা জানিয়েছেন, মিমি গত কয়েকদিন ধরে হাতের নখের সমস্যা ও রোদে পুড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। তাই হাতে গ্লাভস পড়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল তারকা প্রার্থী মিমি রবিবার শিলিগুড়ি যাচ্ছেন। ১৯ তারিখ মামাতো বোন সুকন্যার বিয়ে। তার আগের দিন উত্তরবঙ্গে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বাড়ির পাশে পাণ্ডাপাড়া কালীবাড়ি নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে এবার ভোট দিতে দেখা যাবে ঘরের মেয়ে তথা তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমিকে। মামা রাম চক্রবর্তী জানান, ভোটার তালিকায় তিন নম্বরে নাম রয়েছে মিমির। জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনের নম্বর তিন। কাকতালীয় হলেও ইভিএমএ তৃণমূল প্রার্থীর নামও রয়েছে তিন নম্বরে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest