চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে ‘অভিভাবক’ মুখ্যমন্ত্রীকে অবস্থান থেকে সরে আসার আবেদন অপর্ণা সেনের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#কলকাতা: সোমবার রাতে এনআরএসে রোগীর পরিজনদের হাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের নিগ্রহ হওয়ার ঘটনার জেরে কর্মবিরতি অব্যাহত বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে। এরই মধ্যে জট বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকদের গণইস্তফা। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুবই জটিল হয়েছে।

এর মধ্যে রাজ্যে জুড়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসার আবেদন জানালেন অভিনেত্রী-পরিচালিকা অপর্ণা সেন। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কথা ভেবেই তা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। শুক্রবার এনআরএসে অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের জমায়েতে গিয়ে তিনি বলেন, ডাক্তারি পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত তোলা অত্যন্ত নিন্দনীয় একটি ঘটনা। এ জাতীয় ঘটনায় তিনি মর্মাহত। অপর্ণার কথায়, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারদের হস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হলে পরবর্তীতে তাঁরা যদি অন্যত্র চলে যান, রাজ্যের বাইরে চলে যান, তাহলে তা রাজ্যের ক্ষতি। খুব ভাল ছাত্রছাত্রী না হলে ডাক্তারি পড়াই যায় না। 

“আপনি রোগীদের পাশাপাশি ডাক্তারদেরও মুখ্যমন্ত্রী। একবার ওদের কাছে এসে ওদের সঙ্গে কথা বলুন।” এনআরএসে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এ ভাবেই বিশেষ আবেদন করলেন অপর্ণা সেন। অপর্ণা ছাড়াও এনআরএসের পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা, নাট্য পরিচালক কৌশিক সেনও। তিনি বললেন, পড়ুয়াদের পাশে সবার আগে এসে দাঁড়ানো উচিত ছিল মুখ্যমন্ত্রীরই। কারণ তিনি বিশেষ কোনও দলের মুখ্যমন্ত্রী নন। রাজ্যের প্রতিটি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। কৌশিক বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে পরিষেবা পায়, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে ডাক্তারির পড়ুয়াদেরও, এটাই তিনি অনুরোধ করতে এসেছেন। তবে একইসঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে প্রতিবাদও। কারণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পড়ুয়ারাও।

কৌশিকের কথায়, সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার আগে, কোনও শিল্প কর্মে সরকারি অনুদান দেওয়ার চেয়েও সুস্থ থাকাটা অনেক বেশি জরুরি। তাই মু্খ্যমন্ত্রীকে এনআরএসের পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতেই হবে। অপর্ণা ও কৌশিকের সুরে সুর মিলিয়েছেন উপস্থিত অন্য বুদ্ধিজীবীরাও। এ দিন এনআরএসে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র, লেখিকা-সমাজকর্মী বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার, রত্নাবলী রায়ও।

একই কথা প্রতিধ্বনিত হল শিল্পী বোলান গঙ্গোপাধ্যায়ের গলাতেও। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের তিনি বলেন, দেশজুড়ে অসম্ভব কঠিন সময় চলছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা আরও ভয়াবহ। মাৎস্যন্যায় চলছে রাজ্যে। ডাক্তারদের তিনি সতর্ক করেন, আন্দোলন যেন সম্পূর্ণ তাঁদের নিজস্ব হয়। এখানে যেন কোনও রাজনৈতিক রং না লাগে। এই আন্দোলন যেন কোনওভাবেই এমন কাউকে সাহায্য না করে যা পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে শুভ নয়।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest