ছাদের ফুটো দিয়ে অঝোরে ঝরছে বৃষ্টির জল, বছর না ঘুরতেই বেহাল দশা স্ট্যাচু অফ ইউনিটির,

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নর্মদা: সর্দার প্যাটেল নাকি নয়া মাত্র যোগ করেছেন পর্যটন শিল্পে। তাঁর দৌলতেই আরও ফুলেফেঁপে উঠছে রাজ্যের কোষাগার।এমনই দাবি গুজরাট সরকারের। তবে মুদ্রার একপিঠে সমস্তটাই ‘অল ইজ ওয়েল’ হলেও অপরদিক বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কাহিনি। উদ্বোধনের বছর না ঘুরতেই বেহাল দশা ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’-র। ১৫৩ মিটার লম্বা মূর্তিটির ভিউয়িং গ্যালারির ছাদ থেকে চুইয়ে পড়ছে জল। থইথই করছে মেঝে। এই গোটা দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।

লৌহমানব সর্দার বল্লবভাই প্যাটেলের স্মৃতি রক্ষায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে গুজরাটে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ বানানো হয়। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্বের উচ্চতম মূর্তিটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মূর্তিটির নির্মাণে প্রায় চার বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমে করেন ২ হাজার ৫০০ শ্রমিক। দর্শক গ্যালারিতে এক একবারে ২০০ জন পর্যন্ত দাঁড়াতে পারেন, এবং খোলা গ্রিলের ফাঁক দিয়ে দেখতে পারেন নর্মদা নদীর অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য। এর উচ্চতা ১৮২ মিটার হওয়ার কারণ, গুজরাট বিধানসভায় অতগুলিই আসন রয়েছে। তবে জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন ও রাজনৈতিক তরজা চললেও মূর্তিটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে একাধিকবার উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ।

শনিবার গুজরাট জুড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমী বর্ষার তেজ যত বাড়ল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকল একটি ভিডিও, যাতে দেখা যাচ্ছে, জমে থাকা বৃষ্টির জলে সাবধানে পা ফেলছেন স্ট্যাচু দেখতে আসা মানুষজন, ছাদের ফুটো দিয়ে অঝোরে ঝরছে বৃষ্টির জল। ভিডিওটি শনিবার সকালে তোলা হয়েছে বলে দাবি করেছে একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যম।

উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই ধরনায় বসেছিলেন স্ট্যাচু অফ ইউনিটি-র রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। বকেয়া বেতনের দাবিতেই প্রতিবাদ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।  জানা গিয়েছে, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি-র রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। নিরাপত্তারক্ষী, মালি, লিফটম্যান, টিকিট চেকার থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজের জন্য কর্মী জোগান দেয় ‘আপডেটার সার্ভিসেস লিমিটেড’ নামের সংস্থাটি। তাদের এই কাজের বরাত দিয়েছে রাজ্য সরকার। অভিযোগ, সময়মতো কর্মীদের বেতন মেটায় না সংস্থাটি। ফলে চরম অভাবের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। কর্তৃপক্ষের কছে এই বিষয়ে একাধিকবার সওয়াল করলেও ফল মেলেনি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest