নয়াদিল্লি: ছুটি কাটাতে হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে। কিন্তু বাড়িতে না থেকে শ্রীনগরে বায়ুসেনার বেসক্যাম্পে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তবে যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য তাঁকে মেডিক্যাল বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় জইশ-ই-মহম্মদ। তার পাল্টা ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ভারত। বায়ুসেনার তরফে পাকিস্তানের বালাকোটে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক করা হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ওই জঙ্গিঘাঁটি।গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন বায়ুসেনার এই উইং কমান্ডার। সেদিন সকালে তিনটি এফ-১৬ নিয়ে ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান।সেগুলিকে তাড়াতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বায়ুসেনা। সেই দলে ছিলেন অভিনন্দনও। তিনি একটি মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান নিয়ে তাড়া করেন পাকিস্তানি এফ-১৬কে। তাঁর যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ভেঙে পড়ে এফ-১৬।তবে মিগ-২১ও ভেঙে পড়ে। কোনওমতে প্রাণে বাঁচেন অভিনন্দন। কিন্তু তিনি গিয়ে নামেন পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে। তাঁকে ধরে ফেলে পাকিস্তান। তার আগে স্থানীয়দের হাতে মারধর খেতে হয় তাঁকে।
এরপর ভারত ও আন্তর্জাতিক স্তরের লাগাতার চাপের কাছে নতিস্বীকার করে অভিনন্দনকে দুদিন পর মুক্তি দেয় পাকিস্তান। গত ১ মার্চ দেশে ফেরেন বায়ুসেনার এই উইং কমান্ডার। ভর্তি হন হাসপাতালে। সেখানে তাঁর সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা হয়। এর পর ১২ দিন আগে তাঁকে অসুস্থতা জনিত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। চার সপ্তাহের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছিল। পুরো ছুটি না নিয়েই তিনি শ্রীনগরে নিজের টিমের কাছে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এখনই তিনি কাজ শুরু করবেন না। বরং তাঁকে বিশ্রামে রাখা হবে। নির্ধারিত সময় পর তাঁর আবার শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। তার পর ঠিক করা হবে যে কতদিন পর তিনি আবার ককপিটে ফিরবেন।