Site icon The News Nest

জঙ্গি মৃত্যু তো দূর এয়ার স্ট্রাইকে ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণই মিললো না উপগ্রহ চিত্রে, রয়টার্সের দাবিতে কপালে ভাঁজ মোদী সরকারের

114588 xosgilrgyi 1551851060

অক্ষত জইশ ঘাঁটি

নয়াদিল্লি:  এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে মোদী সরকারের অস্বস্তি নতুন করে বাড়ালো উপগ্রহের পাঠানো ছবি। যে ছবি দেখে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স-ও। তাদের দাবি, ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে আদৌ এই হামলায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

যত সময় এগোচ্ছে ততই এই ইস্যুটির সাইড ইফেক্ট টের পাচ্ছে মোদী সরকার। এমনিতেই হতাহতের সংখ্যা ঘোষণা করে দলে একা হয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। বায়ুসেনা প্রধান ধানোয়া জানিয়ে দিয়েছেন, লাশ গোনা তাঁদের কাজ নয়। গোঁসা করে ভি কে সিং বলেছেন, মশা মরলেও কি গুনে দেখতে হবে। হতাহতের সংখ্যা এড়িয়ে গিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। রাজনাথ সিং উত্তর দিয়েছেন দায়সারা ভাবে। অথচ এয়ারস্ট্রাইকের দিনে প্রচার
করা হয়েছিল, কমপক্ষে ৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি এই ইস্যুটি নিয়ে সেদিন রাজনীতি শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীও নিজস্ব কায়দায় শুরু করেছিলেন প্রচার রাজনীতি। বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম তাতে জল ঢেলে দিল বলে মনে করছে রাজনীতির কারবারিরা।

বালাকোটে জইশ শিবির লক্ষ্য করে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতের পর সংবাদসংস্থা রয়টার্স একটি স্যাটেলাইট ছবি সামনে এনেছে৷ সেই স্যাটেলাইট ছবি রয়টার্সকে দিয়েছে প্ল্যানেট ল্যাব আইএনসি৷ সেই ছবির উপর ভিত্তি করে রয়টার্স তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের প্রত্যাঘাতের পরও মাদ্রাসা বাড়িটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে৷ বাড়িটির একটি কণাও খসে পড়েনি৷ সেখানে কোনও গর্ত দেখা যায়নি৷তারা জানিয়েছে, ছবিতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি ধরা পড়েনি। বালাকোটের জাবা গ্রামে জইশের জঙ্গিঘাঁটি দিব্য মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে জইশ চালিত মাদ্রাসা-সহ মোট ছ’টি বাড়ি। তবে শেষবার ওই এলাকায় কিছু তাঁবু দেখা গিয়েছিল। সেগুলির হদিশ নেই। হয় সেগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অথবা বায়ুসেনার অভিযানেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তবে ভারত সরকার যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরছিল, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে তাদের দাবি।যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলিতে এর আগে বোমার আঘাতে বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে। ফাটল দেখা দিয়েছে দেওয়ালে। কিন্তু বালাকোটে জইশ চালিত মাদ্রাসা এবং বাকি বাড়িগুলিতে সেরকম কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি বলে দাবি রয়টার্সের।এই রিপোর্ট স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীদের নয়া অস্ত্র তুলে দিল।

Exit mobile version