জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা মোদীর, গত পাঁচ বছর ধরে দেশে সুপার ইমার্জেন্সি চলছে- টুইটে পাল্টা নিশানা মমতার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপনের বিষয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জবাবি ভাষণ দেন। রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্যেই সংসদ ভবনে দুই কক্ষকেই সম্বোধন করেছিলেন। নবনির্বাচিত আইন প্রণেতারা রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ধন্যবাদ জ্ঞাপন বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন।

রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ জ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন,একটি নিরাপদ ভারতের স্বপ্ন অনেক নেতারাই দেখেছেন। সমাধানের সঙ্গে এই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আমাদের সবাইকেই এগিয়ে যেতে হবে। এটাই ভারতের আকাঙ্ক্ষা এবং এই সুযোগ ভারতের হারানো উচিত নয়। প্রথম বার সাংসদ হয়ে যাঁরা সংসদে এসেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া দেশবাসী যাঁরা ভোট দিয়ে ফের বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছেন, তাঁদেরও অভিনন্দন জানান মোদী। সাংসদদের প্রতি মোদীর আর্জি, সংসদের কাজকর্ম সুষ্ঠু ভাবে চালাতে সাহায্য করুন। স্পিকারকে সাহায্য করুন।

৪৪ বছর আগে ইন্দিরা গাঁধীর জারি করা জরুরি অবস্থাকে আক্রমণ করে মঙ্গলবার টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটও একই উপলক্ষে। কিন্তু মমতার নিশানায় ইন্দিরা জমানা নয়, তিনি নিশানা করেছেন মোদী জমানাকে।

১৯৭৫ সালের ২৫ জুন৷ তৎকালীন ইন্দিরা গান্ধী সরকার দেশের অরাজকতার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছিল৷ সেসময় বিরোধী শক্তির উত্থানকে দমন করতে তৎকালীন শাসকের ভূমিকা দেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে রয়েছে৷ এ দিন তার নিন্দায় নরেন্দ্র মোদীও টুইট করেছেন। সে টুইটে রয়েছে ১ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো। তাতে জরুরি অবস্থার সময়ের স্মৃতিচারণ। আর ভিডিয়োর নীচে লেখা, ‘‘ভারত সেই সব মহৎকে কুর্নিশ করে, যাঁরা তীব্র এবং নির্ভীক ভাবে জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন। একটা কর্তৃত্ববাদী মানসিকতার বিরুদ্ধে সফল ভাবে টিকে থেকেছে ভারতের গণতান্ত্রিক মানসিকতা।’’

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, ‘‘১৯৭৫ সালে আজকের দিনেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ৫ বছর ধরে দেশে ‘সুপার ইমার্জেন্সি’ চলেছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের উচিত দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য লড়াই করা।’’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest