Site icon The News Nest

জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

cm 1

জলপাইগুড়ি: ফের উদ্বোধন হল জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের। ৮ ফেব্রুয়ারি এই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করে ফিরেছিলেন প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যের তরফে কাউকে ডাকা হয়নি। উদ্বোধনের পর থেকে কাজের কাজও কিছু হয়নি। রাজ্যকে না জানিয়ে একতরফা উদ্বোধন করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই ঠিক হয় সার্কিট বেঞ্চের আবার উদ্বোধন করবে রাজ্য। ক্যালকাটা হাইকোর্টের তরফ থেকেও বলা হয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ করা হয়নি।

রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, প্রধানমন্ত্রী কোথায় প্রচারে গেলেই কিছু না কিছু উদ্বোধন করে তিনি ফেরেন। এর মাধ্যমে নিজের ও তার দলের উন্নয়নমুখী ভাবমূর্তী তুলে ধরার চেষ্টা করেন। সে কারণেই কাউকে কোনও খবর না দিয়েই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন তিনি। রাজ্য ও কলকাতা হাইকোর্টকে না জানিয়ে কেবল ক্যামেরার
সামনে সবটা হয়েছিল। শনিবার পদ্ধতি মেনে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ফের ‘উদ্বোধন করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সার্কিট বেঞ্চের এই অনুষ্ঠানে নাম না করে কেন্দ্রের সমালােচনায় মুখর হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি । বলেন, ১৯৮৮-তে সিদ্ধান্ত হয়। ২০১২-তে শিলান্যাস করি। তারও আগে হয়ে যেতে পারত সার্কিট বেঞ্চ। কিন্তু হয়নি। অনেকটা সময় লেগে গেল।

আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু হবে সােমবার ১১ মার্চ। রাজ্যের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে এদিন কেন্দ্রের সমালােচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলায় আগে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু ছিল। যার ব্যায় নির্বাহ করত কেন্দ্র। কিন্তু পরে তার টাকা না দেওয়ায় সেগুলি অচল হয়ে পড়ে। তাই রাজ্যের রাজ্যের সাহায্যেই বর্তমানে ওই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টগুলি চলে। এর মধ্যে ৫৫টি আদালত মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট।’ বিচার ব্যবস্থাকে আরও মসৃণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঠিক সময়ে মানুষ যাতে বিচার পায়, তা সুনিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি।পরিকাঠামাে উন্নয়নের উপরও জোর দেন। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে থাকবে একটা ডিভিশন বেঞ্চ তার দুটি সিঙ্গল বেঞ্চ। ক্যালকাটা হাইকোর্টের অ্যাক্টিং প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার, বিচারপতি মহম্মদ মুমতাজ খান, অরিন্দম মুখার্জী, মধুমিতা মিত্র ১৫ মার্চ পর্যন্ত প্রথম দফায় সেখানে বসবেন। পরবর্তীতে কোন বিচারপতিদের সেখানে পাঠানাে হবে সেটা ঠিক করবে কলকাতা হাইকোর্ট। মঞ্চে উপস্থিত কলকাতা হাইকোর্টের। একাধিক বিচারপতির সামনেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমিও আপনাদেরই গােত্রের। ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন আইনজীবী। কিন্তু সুযােগের অভাবে তার প্র্যাকটিস করি না’ পাশাপাশি, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বাংলা ভাষায় সওয়াল করার পক্ষেও জোর দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু ইংরেজি নয়, বাংলাতেও সওয়াল করতে দিতে হবে।বাংলা ভাষায় আইনজীবীদের বলার সুযােগ দিতে হবে। মনের ভাষা প্রকাশ করার সুযােগ দিতে হবে।

Exit mobile version