ইসলামাবাদ: গান্ধীর রাজ্যের মানুষ বড় হয়েছেন শান্তির কথা শুনে। এই গান্ধীর রাজ্যের একজনই এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী।গান্ধীগিরিতে ভারত বরাবর পাকিস্তানকে পিছনে ফেলেছে। তবে এই প্রথমবার শান্তিকে ভারতের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করল ইমরানের পাকিস্তান আর গর্জে উঠল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে।
শনিবার মার্কিন রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মিথ্যে বলে ভোট জেতার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন ইমরান খান। রবিবার পাকিস্তানে আটক ৩৫৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবি এবং ৫ জন সাধারণ মানুষকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নল তাঁর সরকার। সোমবার তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল জানিয়েছিলেন, ভারতীয় বন্দীদের চারটি দলে ছাড়া হবে। পাকিস্তান আশা করছে ভারতও পাল্টা সৌজন্য দেখাবে। ইসলামাবাদের দাবি, ভারতের জেলে ৩৪৭ জন পাক বন্দি রয়েছেন।এর মধ্যে ২৪৯ জন সাধারণ নাগরিক এবং ৯৮ জন মৎস্যজীবি বন্দি রয়েছেন।
তবে, সমস্যা হলো ভারতে বর্তমানে নির্বাচন মরশুম চলছে। ফলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বদাই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠা বিজেপির পক্ষে সৌজন্যে দেখানো খানিকটা কঠিন হবে সন্দেহ নেই। কারণ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারন বিজেপি নেতা পর্যন্ত সকলেই পাক বিরোধিতাকে এই নির্বাচনের অন্যতম হাতিয়ার করতে চাইছেন। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের সৌজন্যের পাল্টা সৌজন্য প্রদর্শন তাদের রাজনীতিতে ক্ষতি করতে পারে এমন ভাবনা স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করছে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে।
তবে, কূটনৈতিক মহল এবং রাজনৈতিক মহলের মতে, পাকিস্তান ইচ্ছাকৃত ভাবে শান্তির পয়গাম ছড়াচ্ছে। বোঝাতে চাইছে তারা ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্য চায়। কিন্তু ভারত পাল্টা সৌজন্যে দেখাচ্ছে না। দেশের বৰ্তমান রাজনৈতিক বাতাবরণে পাকিস্তানের প্রতি সৌজন্যতা কেন্দ্রের পক্ষের যে সহজ হবে না সে কথা অ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহজে উপলব্ধি করতে পারবেন। মুশকিল হল এই নির্বাচনে বিজেপি সব ছেড়ে ভারতীয় সেনা এবং পাকিস্তানকে নির্বাচনের হাতিয়ার করে ফেলেছে। তীব্র পাক বিদ্বেষ জাগিয়ে তুলতে চাইছে। কিভাবে ভারত পাকিস্তানকে সবক শেখাচ্ছে সে কথা শোনানো হচ্ছে ফি নির্বাচনী মঞ্চে। ফলে হঠাৎ করে পাকিস্তানের শান্তি পয়গামের বিনিময়ে সাদা পতাকা দেখানো ভারতের পক্ষে খানিকটা অসস্তিকর সন্দেহ নেই।
একথা ঠিক যে,পুলওয়ামা পরবর্তী বিষয়টি গেরুয়া শিবিরকে রাজনৈতিকভাবে খানিকটা সুবিধা দিয়েছে।কিন্তু পাকিস্তানের লাগাতার পজেটিভ রাজনীতি ব্যাকফুটে ঠেলে দিচ্ছে মোদী সরকারের বহুল প্রচারিত সাফল্যকে।