#বেজিং: জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিন। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২ জনের। জখম হয়েছেন আরও ১২২ জন। সোমবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে চিনের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত সিচুয়ান প্রদেশে প্রথমবার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৯। পরে মঙ্গলবার সকালে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিচুয়ানের রাজধানী চেংডু-সহ বেশ কয়েকটি শহর। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৫.২।
চিনের ভূমিকম্প সেন্টার (CENC)জানিয়েছে, প্রথম কম্পন হয় সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ। ইবিন সিটির চ্যাঙনিঙ কাউন্টিতে। ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.০। এই কম্পনের রেশ মেলাতে না মেলাতেই ফের ৫.৩ তীব্রতার কম্পনে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ভেঙে পড়ে বাড়িঘর, ফাটল দেখা দেয় রাস্তাতেও। আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে আসে লোকজন। স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখানো হয় ধসে পড়ছে বাড়িঘর। ফাটল দেখা দিয়েছে অনেক বহুতলেও। ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষজনকে উদ্ধারের জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়রাও।
চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জিনহুয়া জানিয়েছে, ইবিন শহরের আশপাশের এলাকাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দল জানিয়েছে, মঙ্গলবার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আরও চারজনকে উদ্ধার করা গেছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। ভিতরে এখনও দু’জনের আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট বলছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল চ্যাঙনিঙের ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল)গভীরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে ৫০ হাজার তাঁবু, ১০ হাজার বিছানা ও অন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকেও প্রচুর মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে মাসে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সিচুয়ান প্রদেশ। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ।