Site icon The News Nest

তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি! দশ বছরে উষ্ণতম জুলাই দক্ষিণবঙ্গে, বৃষ্টির ঘাটতি ৭২ শতাংশ

summer 1

#কলকাতা: বৃষ্টি না হলেও, চলছিল বর্ষাকাল। হঠাৎ করে আবার গরম পড়ে গেল কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে। আর সেই গরম মামুলি কিছু নয়, পারদ এমন বেড়েছে যে অলিখিত ভাবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। কলকাতায় জুলাইয়ের পারদ গত দশ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

রবিবার প্রবল গরম গিয়েছে কলকাতায়। সোমবারও সকাল থেকেই ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে পারদ। শেষে ৩৭.৭ ডিগ্রিতে পৌঁছে পারদ চড়া থামে শহরে। ভাগ্যিস দুপুরের দিকে স্থানীয় কিছু বজ্রগর্ভ মেঘের জন্য শহরের আকাশে মেঘ ঢুকে গিয়েছিল। নইলে আরও অনেকটাই বাড়তে পারত তাপমাত্রা।

কলকাতার এ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আবহাওয়ার পরিভাষায় এমনটা হলে তাপপ্রবাহ ঘোষণা করা হয়, কিন্তু যে হেতু সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ছোঁয়েনি, তাই সরকারি ভাবে তাপপ্রবাহের কবলে পড়েনি কলকাতা। গত দশ বছরের মধ্যে জুলাইয়ে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল গত বছরই। সে বার ১৯ জুলাই পারদ ছিল ৩৬.১। কলকাতায় যখন এই পরিস্থিতি তখন পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে পরিস্থিতি আরও অসহনীয়। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে এ দিন উষ্ণতম স্থান ছিল বাঁকুড়া। সেখানে পারদ রেকর্ড করা হয় ৩৮.৯ ডিগ্রি। এ ছাড়াও বাকি মোটামুটি সব জায়গাতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে।

আবার এই গরমের সৌজন্যেই দুপুরের পর কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বেশ কিছু জায়গায় স্বস্তির ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় তো অল্প সময়ের জন্য ভারী বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও দক্ষিণবঙ্গের বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। তবে যথারীতি কলকাতার ভাগ্য খারাপই।  ৩-৪ দিনের আগে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা সক্রিয় হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই। ২০ তারিখের পর বৃষ্টির পরিমাণ দক্ষিণবঙ্গে বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তত দিন পর্যন্ত এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিই ভরসা। এরই মধ্যে কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতি ৭৩ এবং হাওড়ায় ৭৭ শতাংশে পৌঁছল। জেলাগুলির অবস্থার কলকাতার থেকে অনেকটাই ভালো হলেও, সেখানেই জলের অভাবে চাষিদের মাথায় হাত। অবিলম্বে বৃষ্টি শুরু না হলে, খরা ঘোষণা করতে হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।

এক দিকে যখন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির আকাল, তখন উত্তরবঙ্গ ভাসছে। তিস্তা, তোর্সা সহ পাহাড়ি নদীগুলিতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জলস্তর। আগামী দু’দিন একই রকম ভাবে বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির কারণে ঘাটতি মিটেছে ঠিকই, কিন্তু অনবরত বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন।

Exit mobile version