তিহার জেলে মুসলিম বন্দির গায়ে গরম লোহার শিক দিয়ে ‘‌ওঁ’‌ লেখার অভিযোগ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পাটনা: বিতর্কে জড়াল তিহার জেল কর্তৃপক্ষের নাম। জেলের সুপারিনটেন্ডেন্টের বিরুদ্ধে উঠল চরম অভিযোগ। এক মুসলিম বন্দির গায়ে গরম লোহার শিক দিয়ে ‘‌ওঁ’ চিহ্ন এঁকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ‌ওই সুপারিনটেন্ডেন্টের বিরুদ্ধে তাকে নির্মমভাবে মারধর করে, উপোস করতে বাধ্য করে রাখারও অভিযোগ তুলেছে নাবির নামে ওই বন্দি।

অবৈধ অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য তাকে পেশ করা হয়েছিল দিল্লির কড়কড়ডুমা আদালতে৷ সেখানেই এই অভিযোগ তোলে নাবির। সকলের সামনেই এরপর নিজের জামা খুলে বিচারপতিকে দেখায় তার পিঠের চিহ্নটি। দেখা যায় প্রায় ছ’‌ইঞ্চি বড় ওই ‘‌ওঁ’‌ চিহ্নটি ওই বন্দির বাঁ–কাঁধের একটু নিচে খোদাই করা। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেল কর্তৃপক্ষ। তাদের ব্যাখা যদি জোর করে ওই চিহ্নটি খোদাই করা হত, তাহলে এত সুষ্ঠুভাবে সেটি সম্পন্ন হত না। যদিও বিচারপতি জেল কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যকে বিশ্বাস না করে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে কারা বিভাগের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল অব প্রিজনের উপর। রায়ে বিচারপতি বলেন, ‘‌ঘটনার প্রয়োজনীয় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া, অন্যান্য বন্দিদের জবানবন্দিও নেওয়া হবে। জেলের বন্দিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি যাতে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়, সেই ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হল কারা কর্তৃপক্ষকে’‌। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ৷ তারপরেই রায় দেওয়া হবে

অবৈধ অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে দোষী নাবিরকে রাখা হয়েছে তিহারের জেলের চার নম্বর সেলে। তবে যতদিন না তদন্তের রিপোর্ট আসছে, ততদিন ওই বন্দিকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিল আদালত। রীতিমতো চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিহার জেল কর্তৃপক্ষ৷ কী ভাবে একজন বন্দির গায়ে এই ধরনের চিহ্ন আঁকা হল, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না তিহার প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কোনও আধিকারিক৷ এক জনের কথায়, ‘‌আদালতের নির্দেশ মতো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে৷ এই বিষয়ে যা বলার তা আদালতকেই লিখিত ভাবে জানানো হবে৷’‌

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest