নয়াদিল্লি: তৃণমূলের হয়ে প্রচার করায় ফিরদৌসের পর বাংলাদেশি অভিনেতা নুরকে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, তাঁর ভিসার মেয়াদও ফুরিয়ে গিয়েছিল। সেক্ষত্রেও তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নয়াদিল্লি এ কথা জানিয়ে দিয়েছে নবান্নকে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ হাই কমিশনকেও।
জনপ্রিয় বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌসকে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ভিসা বাতিল করে দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরই প্রকাশ্যে আসে, একই ভাবে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছেন অভিনেতা গাজি আব্দুন নুর।রাজ্যের মানুষের কাছে গাজি নুর কয়েকটি জনপ্রিয় বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করার সূত্রে খুবই পরিচিত মুখ।
মঙ্গলবার বিকেলেই বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং শিশির বাজোরিয়া রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেন। বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁরা একটি ভিডিয়োও জমা দিয়েছেন কমিশনকে। সেইভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের রোড শোতে একটি প্রচার গাড়ি থেকে গাজি নুর জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। তাঁর পাশে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র।
গাজি নুরের দাবি, তিনি কোনওভাবেই কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্কে কোনও কথা বলেননি প্রচারে। তিনি কেবলমাত্র উপস্থিত ছিলেন সেখানে। রবীন্দ্রভারতীর সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের ছাত্র নুর যশোরের ছেলে। বাংলাদেশের বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা। তাঁর মা যখন বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন, তখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সাহায্য করেছিলেন মদন মিত্র। সেই থেকেই প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলাপ বলে জানিয়েছিলেন জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক রানি রাসমণির লিড চরিত্র ‘রাজচন্দ্র।’ গোটা ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই তিনি মদন মিত্রকে জানিয়েছিলেন। সেই সময় মদন তাঁকে বলেছিলেন, ‘চাপ নিস না।’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়তে হবে তাঁকে। ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় আরও শাস্তি হয়তো পেতে হবে তরুণ এই অভিনেতাকে।