Site icon The News Nest

তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের পর থমথমে সন্দেশখালি, নিহতের সংখ্যা নিয়ে চাপান উতোর, কমব্যাট ফোর্সের টহল এলাকায়

tmc bjp 021218

#সন্দেশখালি: রাজনৈতিক সংঘর্ষে রক্তাক্ত উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। শনিবার তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ গেল অন্তত চার জনের। আরও অনেকে গুলিবিদ্ধ এবং নিখোঁজ বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। পুলিশ অবশ্য তিন জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করছে।

শনিবারের এই ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকা থমথমে। গ্রামবাসীদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। এলাকায়  পুলিশবাহিনী টহল দিচ্ছে। আহত বেশ কয়েকজনকে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উভয় পক্ষে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ। কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে মাছের গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সন্দেশখালি-ন্যাজাট-মিনাখাঁ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। দিল্লি থেকে ফিরে রবিবার সকালে সন্দেশখালি যাচ্ছেন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের সঙ্গে যাচ্ছেন চার সদ্য নর্বাচিত সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি, অর্জুন সিং, শান্তনু ঠাকুর ও জগন্নাথ সরকার। যাচ্ছেন সায়ন্তন বসু ও দুলাল বর। সূত্র বলছে, ২টি দলে ভাগ হয়ে সন্দেশখালিতে ঢুকবে বিজেপি। একটি দল যাবে বাসন্তী হাইরোড ধরে। আরেকটি দল যাবে অন্য দিক দিয়ে। একটি দলের নেতৃত্বে থাকবেন মুকুল রায়। আরেকটি দল যাবে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে। মুকুল রায় জানিয়েছেন, “সাংসদদের দল এলাকা পরিদর্শন করার পরই পরবর্তী কার্যক্রম ঠিক করা হবে।”

বাংলায় অশান্তি পাকানোর জন্য উস্কানি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী উস্কানি দিচ্ছেন বাংলায় গন্ডগোল করার জন্য। সন্দেশখালিতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে আমাদের কর্মীরা। আরও অনেক কর্মী গ্রাম ছাড়া হয়ে গিয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে ঘটনার দায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। এদিকে অশান্তির আশঙ্কায় সন্দেশখালিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাহিনী শনিবার সন্ধ্যায় হামলা চালায় বলে বিজেপির অভিযোগ। প্রথমে ওই এলাকায় তৃণমূলের বৈঠক হয় এবং বৈঠক শেষে বিজেপির পতাকা খুলতে শুরু করে তৃণমূল, তার থেকেই গোলমালের সূত্রপাত বলে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি। কিন্তু জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাল্টা অভিযোগ, বৈঠক শেষে মিছিল বার করেছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে হামলা চালিয়ে তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লাকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হয়।গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে গেলেও প্রথমে সেখানে ঢুকতেই পারেনি বলে অভিযোগ। পরে বসিরহাট থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী, র‌্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাতে যান রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তারা।

Exit mobile version