নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: মুখে ব্রণ, তৈলাক্ত ভাব সরিয়ে ফেলতে বা মুখের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরিয়ে আনতে ফেস মাস্কের জুড়ি মেলা ভার। সব রকম ক্রিম, সাবান বা লোশন যখন ফেল মেরে যায়, তখন ভরসা এই ফেস মাস্ক। যে কোনও প্রফেশনাল ফেসিয়াল আর্টিস্টও তাই বেছে নেন এই ফেস মাস্ককে। তবে ত্বক বুঝে বাছতে হয় ফেস মাস্ক। নয়তো আপনার সব পরিশ্রম পানিতে। তাই কী ধরনের ফেস মাস্ক বাছবেন, তা ঠিক করতে প্রথমেই বুঝে নিন আপনার ত্বক ঠিক কী রকম।
তৈলাক্ত ত্বক
মুখের ত্বক তৈলাক্ত হলে সহজেই ব্রণ হয়, এমনকি বাইরের পরিবেশের ধুলাবালি সহজেই আটকে যায় মুখে। তাই আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তবে আপনাকে নিতে হবে তুলনায় বেশি সুরক্ষা। তৈলাক্ত ত্বকের বিউটিশিয়ানরা পরামর্শ দেন মাটির মাস্ক বেছে নিতে। মাটির মাস্ক এই কারণেই, যেহেতু এটা সহজেই পাওয়া যায়, এর জোগাড় করতে আপনাকে বেশি খাটতে হয় না।
মাটির মাস্ক সহজেই আপনার মুখের ব্রণ সমেত অন্যান্য মৃত কোষ তুলে নিয়ে আসে। মুখের ত্বকের ভিতর রক্ত চলাচল রাখে, ত্বককে তৈলাক্ত হওয়া থেকে আটকায়। তবে বেশি পরিমাণে মাটির মাস্ক ব্যবহার করলে মুখের ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
মুলতানি মাটির সঙ্গে পানি গুলে ও কয়েকফোঁটা লেবু দিয়ে রেখে দিন আধঘণ্টা। তারপর ব্যবহার মুখে। তবে এই মাস্ক সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো। শুধু মুলতানি মাটি নয়, বাজারে আরও তিন-চার রকমের মাটির মাস্ক পাওয়া যায় যেগুলো সবই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য যথেষ্ট কার্যকরী।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের জন্যও রয়েছে সমাধান। এ ক্ষেত্রে যাদের শুষ্ক ত্বক তারা চোখ বুজে বেছে নিন অ্যালোভেরাকে। ত্বকের পানীয়ভাব ধরে রাখতে অ্যালোভেরার যেমন জুড়ি মেলা ভার, তেমনই এটি শুস্ক ত্বকের ফেস মাস্ক তৈরিতে দারুণ কাজ দেয়। ভালো ফল পেতে হলে অ্যালোভেরার সঙ্গে মিশিয়ে নিন শশার টুকরা। শশা গোল গোল করে কেটে মিক্সার গ্রাইন্ডারে শশা আর অ্যালোভেরা মিশিয়ে ব্লেড। এরপর মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন আধঘণ্টা। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও নারকেলের দুধের সঙ্গে মাখনের মিশ্রণে তৈরি করতে পারেন ফেস মাস্ক যা আপনার শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে খুব উপকারীও হবে।