#কলকাতা: বৃহস্পতিবার ভোটগণনা। শহরের দশটি জায়গায় চলবে গণনা। এই গণনাকে কেন্দ্র করে আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। প্রত্যেক গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তাবলয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্র ও আটটি বিধানসভার উপ নির্বাচনের জন্য মোট ৫৮ টি গণনা কেন্দ্র তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ২৫ হাজার গণনা কর্মী সে দিন লোকসভা নির্বাচনে ভোট গুণবেন পশ্চিমবঙ্গে। তিনটি কর্ডনে ভাগ করা হয়েছে প্রতিটি গণনা কেন্দ্রকে। প্রথম কর্ডনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে স্থানীয় পুলিশ। দ্বিতীয় কর্ডনের দায়িত্ব সামলাবে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী। কিন্তু তিন নম্বর কর্ডন, অর্থাৎ কাউন্টিং হলের দায়িত্বে পুড়োটাই কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে ৮২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে ৫৮টি গণনা কেন্দ্রে।
সবচেয়ে বেশি রাউন্ড গণনা হবে কলকাতা দক্ষিণ এবং ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে। এখানে মোট ২৫ রাউন্ড গণনা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সবচেয়ে কম রাউন্ড গণনা জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে। উত্তরবঙ্গের এই তিন কেন্দ্রে ১০ রাউন্ড করে গণনা হবে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হবে সব ক’টি গণনা কেন্দ্র। দ্বিতীয় কর্ডন থেকে তৃতীয় কর্ডনে ঢোকার সময় তল্লাশি হবে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে। মিডিয়া সেন্টার থাকবে দ্বিতীয় কর্ডনে। প্রার্থী , কাউন্টিং এজেন্ট এবং কমিশন নিযুক্ত গণনাকর্মীরাই তৃতীয় কর্ডনে ঢুকতে পারবেন।
সকাল ৮টায় শুরু হবে গণনা। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসার, অ্যাসিসট্যান্ট রিটার্নিং অফিসাররা গোপনীয়তা রক্ষার শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। এর পরে প্রতিটি ইভিএম পরীক্ষা করা হবে রিটার্নিং অফিসারদের সমানে। সব প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট এবং কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে ভোটগণনা কেন্দ্রে থাকতে পারবেন।
সবার আগে গোনা হবে পোস্টাল ব্যালট। এর পরে শুরু হবে ইভিএম-এর ভোট গোনা। শেষে লোকসভা আসনের মধ্যে থেকে এলোপাথাড়ি বেছে নেওয়া পাঁচটি বুথের ভিভিপ্যাটের ভোট গোনা হবে এবং তার ফলাফল সংশ্লিষ্ট ইভিএমের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। গণনা চলাকালীন কোনও রকম সমস্যা হলে রিটার্নিং অফিসাররা জানাবেন নির্বাচন কমিশনকে।
পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। প্রয়োজনে ভোট বাতিল করে নতুন করে ভোটগ্রহণেরও নির্দেশ দিতে পারে কমিশন। সে রকম কোনও কিছু না ঘটলে গণনার শেষে ফলাফল ঘোষণা করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার। এরপরে বিজয়ীকে জয়ের শংসাপত্রও তিনিই দেবেন।