দলবিরোধী কাজ, বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এক জন বিজেপিতে যোগ দিয়েই দিয়েছেন। অন্য জনও পা বাড়িয়ে রয়েছেন বলে জল্পনা। দু’জনকেই একসঙ্গে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করে দিল তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার ঘোষণা করলেন, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান এবং বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর বোলপুরের সাংসদ অধ্যাপক অনুপম হাজরা জানান,’দলকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলব না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখব। আর পার্থ দা’কে জিজ্ঞাসা করতে চাই, হঠাৎ কী হল? সাত মাস আগে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছি। ফেসবুক করার জন্য দল থেকে বহিষ্কার হলাম, এটা একটা ঐতিহাসিক নজির হয়ে রইল।’
বিভিন্ন সময়ে বোলপুরের সাংসদের নানাবিধ বক্তব্য ঘিরে বিড়ম্বনা বেড়েছিল রাজ্যের শাসকদলের। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপমের পোস্ট ঘিরেও তৈরি হয়েছিল জটিলতা। বোলপুরের এই সাংসদকে নিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও।সূত্রের খবর, অনুপম হাজরা গোপনে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিভিন্ন রকমের পোস্ট ঘিরে বাড়ছিল বিড়ম্বনা। সেই কারণেই বোলপুরের সাংসদকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। মূলত বিজেপি যোগের বিষয়টিই এই বহিষ্কারের মুখ্য কারণ বলে জানা গিয়েছে ঘাস ফুল শিবির সূত্রে।এদিন নদিয়া জেলার রাণাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,’অনুপম হাজরা অনেকদিন ধরেই দল বিরোধী কাজ করছিলেন। তাঁর ক্রিয়াকলাপে দলের বিড়ম্বনা বাড়ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অ্যাক্তিভিটি নিয়েও জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। সেই কারণেই অনুপম হাজরাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।’
পেশায় অধ্যাপক অনুপম ২০১৪ সালে বীরভূম জেলার বোলপুর লোকসভা আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন। এদিন তিনি জানান, শিক্ষা জগতের মানুষ হয়েও কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে রাজনীতিতে এসেছিলেন।বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ অনুপম হাজরা বলেন,’উত্তর সময় বলবে।’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest