Site icon The News Nest

দ্রুত ওজন কমাতে চান? কিটো ডায়েট ফলো করলে ফল পাবেন হাতেনাতে

selection of good fat saurces royalty free image 635917050 1557264418.jpg crop1

ওয়েব ডেস্ক: ওজন কমাতে আজকাল অনেকেই কিটোজেনিক ডায়েট করে থাকেন। এটি খাদ্য গ্রহণের বিশেষ একধরনের পরিকল্পনা, যেখানে শর্করা কম কিন্তু চর্বি বেশি থাকে। এই খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার পরিমাণ একেবারে কমিয়ে পরিমাণমতো প্রোটিন ও চর্বি যোগ করা হয়। এতে খিদে কমে যায়। ফলে শরীরের সঞ্চিত চর্বি ক্ষয় হয়ে অতিরিক্ত ওজন কমে। দেহে শর্করার পরিমাণ কমায় বলে এই খাদ্য পরিকল্পনা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বিশেষ সহায়ক হতে পারে।

• স্ট্যান্ডার্ড ডায়েট: খাদ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ চর্বি, ২০ শতাংশ প্রোটিন ও মাত্র ৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকে।

• সাইক্লিক্যাল ডায়েট: এতে সপ্তাহে খাবারে পাঁচ দিন কম শর্করা এবং বাকি দুদিন বেশি শর্করা যোগ করা হয়।

• টার্গেটেড ডায়েট: স্ট্যান্ডার্ড কিটোজেনিক ডায়েটের মতোই। তবে কায়িক পরিশ্রমের ধরন ও পরিমাণ অনুযায়ী খাদ্যতালিকায় শর্করা যোগ করা হয়।

• হাইপ্রোটিন ডায়েট: এ পদ্ধতিতে খাদ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ চর্বি, ৩৫ শতাংশ প্রোটিন ও ৫ শতাংশ শর্করা থাকে।

যেসব খাবার পরিহার করতে হয়

কিটোজেনিক ডায়েটে চিনি এবং চিনি দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। উচ্চ শর্করাজাতীয় খাবার, যেমন ভাত, পাস্তা, নুডলস এবং শর্করাজাতীয় সবজি, যেমন আলু, মিষ্টিকুমড়া, গাজরও খাদ্যতালিকায় থাকা চলবে না।

যে খাবারগুলো খেতে হবে

প্রাণিজ আমিষ ও এই আমিষ থেকে তৈরি যেকোনো খাবার, ডিম, মাখন, ক্রিম, পনির, দই, মাছ, শর্করা কম এমন সবজি, যেমন লাউ, ফুলকপি, ব্রকলি, লাল-সবুজ শাক ইত্যাদি। বাদাম ও বিভিন্ন ফলের বীজ। তেল, যেমন অলিভ অয়েল, সূর্যমুখী তেল। ফলের মধ্যে জলপাই, আভোকাডো, স্ট্রবেরি, লেবু খেতে হবে।

সতর্কতা: কিটোজেনিক ডায়েট বেশি দিন টানা করা ঠিক নয়। সুষম খাদ্যাভ্যাসই সবচেয়ে সেরা উপায়। অন্য যেকোনো বিশেষ ধরনের খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

Exit mobile version