ধর্ষণের বিভিন্ন রকম ‘ধরন’ আছে, বিতর্কিত মন্তব্য যোগী রাজ্যের মন্ত্রীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#লখনউ: সব ধর্ষণ এক নয়। তারও নানা শ্রেণিবিভেদ আছে। এমন মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিলেন উত্তরপ্রদেশের জলসম্পদ, বন ও পরিবেশমন্ত্রী উপেন্দ্র তেওয়ারি। তাঁর মতে, কোনও নাবালিকাকে ধর্ষণ করা একরকম অপরাধ, বিবাহিত মহিলাকে ধর্ষণ করা আর একরকম অপরাধ।

আলিগড়ের শিশু খুনের ঘটনা নিয়ে যখন উত্তাল গোটা দেশ, উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকা নিয়ে যখন প্রবল সমলোচনার ঝড় উঠছে, ঠিক সেই সময়েই তাঁরই এক মন্ত্রীর এমন বেফাঁস মন্তব্য যোগী আদিত্যনাথের অস্বস্তি আরও বাড়াল বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জুনের প্রথম সপ্তাহেই উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাবালিকা খুনের চারটি ঘটনা ঘটে। পুলিশের রিপোর্ট অন্তত তেমনটাই বলছে। সেই চারটি ঘটনার মধ্যে রয়েছে আলিগড়ের দু’বছরের শিশুকন্যার খুনের ঘটনাটিও। গত ২ জুন ওই শিশুটির ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে শিশুটিকে। যদিও পুলিশের দাবি, আলিগড়ের শিশু খুনের ঘটনায় এখনও ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি।

এর মধ্যেই তিওয়ারি বলেন, “ধর্ষণের একটা ধরন আছে। যখন কোনও নাবালিকা ধর্ষিত হচ্ছে, তখন সেটাকে ধর্ষণ হিসেবেই ধরা উচিত।” পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, “আমরা অনেক সময় শুনি ৩০-৩৫ বছরের কোনও বিবাহিত মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আবার এমনও শোনা যায়, ৭-৮ বছর একটা প্রণয়ের সম্পর্ক চলার পরও ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এ সব ক্ষেত্রে প্রথম দিকেই অভিযোগটা তোলা উচিত, এত দিন পরে নয়।” তাঁর এই মন্তব্যের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরই নানা মহল থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, এমন একটা সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কী ভাবে এমন অবিবেচকের মতো মন্তব্য করতে পারলেন মন্ত্রী! যদিও এ বিষয়ে পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তিওয়ারির।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মানহানি করার দায়ে পুলিশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে। তেওয়ারিকে এসম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সংবাদ বলে সাংবাদিকরা যা প্রকাশ করেন, তার দায়ও তাঁদেরই নিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করার আগে প্রত্যেক সাংবাদিকের যাচাই করা উচিত, তাঁরা যা প্রকাশ করতে যাচ্ছেন, তা সত্যি কিনা। যদি ধৃত সাংবাদিকের কাছে ফেসবুক পোস্টের পক্ষে কোনো প্রমাণ থাকে, তিনি আদালতে পেশ করুন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest