নজিরবিহীন! পাঁচ জন উপমুখ্যমন্ত্রীর পর আরও বড়ো চমক জগন রেড্ডির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#অমরাবতী: বিভিন্ন সম্প্রদায় থেকে পাঁচজনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করে শুক্রবারই একপ্রস্থ চমক দিয়েছিলেন অন্ধ্র প্রদেশের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। শনিবারও আরও একটা চমক দিলেন তিনি। এ বার দলিত মহিলাকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করলেন তিনি। গুন্টুর জেলার প্রতিপদু কেন্দ্রের নবনির্বাচিত বিধায়ক মেকতোটি সুচরিতাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করলেন জগন। সুচরিতা ছাড়াও আরও ২৪ জন এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এ দিন শপথ নেন। সব মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ইএসএল নরসিংহ। সকালের শপথ অনুষ্ঠানের পরে সবাইকে দফতর বন্টন করে দিয়েছেন জগন।

বাবা ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির থেকেই সম্ভবত অনুপ্রাণিত হয়েছেন জগন। কারণ অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো মহিলাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন রাজশেখর। এর আগে পাঁচ জন উপমুখ্যমন্ত্রী রেখে নতুন রেকর্ড গড়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। ভারতের কোনও রাজ্যে এতজন উপমুখ্যমন্ত্রী নেই। আগেও কখনও হয়নি। যে পাঁচজনকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হচ্ছে, তাঁরা তফসিলি জাতি, উপজাতি, সংখ্যালঘু এবং কাপু সমাজের প্রতিনিধি।

একাধিক উপমুখ্যমন্ত্রীর নজির দেশে রয়েছে, এবং সে ক্ষেত্রে সামনে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই। যেমন ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করার পরে তাঁর ডেপুটি করা হয় কেশবপ্রসাদ মৌর্য এবং দীনেশ শর্মাকে। দুই গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি, এমনই জল্পনা ছিল রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু জগনের ক্ষেত্রে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গল্পই নেই। এ ছাড়াও জগনের সিদ্ধান্ত তাঁর মন্ত্রিসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যই হবে তুলনায় দুর্বল জাতির থেকে।

ভোট বাক্সে ঝড় বইয়ে দিয়ে সরকারে এসেছেন জগন। তাঁর দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস ১৭৫টি আসনের মধ্যে দখন করেছে ১৫১টি আসন। লোকসভাতেও ২৫টি আসনের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে ২২টি আসন জিতেছে জগনের দল। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু এ বার সেই সংখ্যাটা এক লাফে বাড়িয়ে পাঁচ করছেন জগন। এ ব্যাপারে ওয়াইএসআর কংরেসের তরফে জানানো হয়েছে, “সমাজের সব অংশকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই কুর্সি দখল করেছে তাদের দল। তাই শুরু থেকেই সেটা পূরণ করা হবে।”

জেতার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জগন। দাবি জানিয়ে এসেছেন অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে। এ বার নিজের ক্যাবিনেটেও সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতনিধিদের জায়গা করে দিলেন তিনি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest