#নয়াদিল্লি: গত পাঁচ বছরে একটি বারের জন্যেও সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যায়নি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার আগে সেটাও করলেন। আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারের ব্যস্ততা নেই, সেই ফাঁকেই নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি। অবশ্য একা নন। পাশে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বক্তব্য রাখলেন, কিন্তু সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মোদী একাধিক বার বলেন, “আমি আপনাদের কাছে এসেছি ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য।এত দিন দেশের যেখানে গিয়েছি, সব জায়গাতেই আমি মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আজও ধন্যবাদ জানাতে চাই”। অর্থাৎ, সংবাদ মাধ্যমের প্রয়োজন তাঁর এ দিন খুব ভালো মতোই ছিল। নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকায় তিনি তো কোনো সভা-সমিতিতে বক্তব্য রেখে জনগণকে ধন্যবাদ জানানোর কাজটি সারতে পারবেন না। ফলে তাঁর মাধ্যম দরকার। সেই মাধ্যম সংবাদ মাধ্যম।
রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই মাধ্যম কোনো সংবাদ সংস্থা হলেও ঠিক চলত না। এর আগে সাংবাদিক বৈঠকে অংশ না-নিলেও সংবাদ সংস্থা এনএনআইয়ে সহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে জমকালো সাক্ষাৎকার তিনি দিয়েছেন। কোনো সাংবাদিকদের সামনে, কখনও বা বলিউডি তারকার সামনে। কিন্তু সরাসরি সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর অ্যালার্জি বরাবর দেখা গিয়েছে। কিন্তু, আজ তাঁর আর কোনো দ্বিতীয় পথ নেই। নিজের বক্তব্যে এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসঙ্গও টেনে নিয়ে এসেছেন মোদী। তিনি এত দিন এই সমস্ত মাধ্যমকে বেশ পরিশীলিত ভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা জারি রেখেছিলেন। রেডিওতে তাঁর নিজস্ব অনুষ্ঠান হোক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুগামীদের কাছে মনের কথা পৌঁছে দেওয়া- সবই তিনি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পালন করেছেন সাংবাদিক বৈঠক ব্যতিরেকে।
এ দিন মোদীর সাংবাদিক বৈঠকের কথা শুনে রাহুল গান্ধী ‘চিমটি’ কাটতে ভোলেননি। প্রায় একই সময়ে তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, “মোদীজি কাউকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন, এটা নজিরবিহীন। হয়তো এটা ওঁর সাংবাদিক বৈঠক নয়, উনি সঙ্গ দিচ্ছেন মাত্র। তবে শুনেছি ওই বৈঠক দরজা বন্ধ করে হচ্ছে। কয়েক জন সাংবাদিক ভিতরে ঢুকতে পারেননি শুনলাম”।