ওয়াশিংটন : জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই তাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেওয়ার ওপর জোর দিল আমেরিকা। জইশ-ই-মহম্মদ প্রধানকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ ঘোষণার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং আজহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া ভারতীয় উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে বিপজ্জনক, মন্তব্য হোয়াইট হাউসের।
অন্যদিকে,আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের আবেদনের ভিত্তিতে মাসুদকে নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পর্ষদ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টায় জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকাভুক্ত’ করা হবে। পাশাপাশি ওই সংগঠনের মাথা মাসুদ আজহারকেও চিহ্নিত করা হবে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ হিসাবে।তবে যদি চিন তার স্বভাবসিদ্ধ আচরণে বাধাদানে বিরত থাকে, তবেই তা সম্ভব। ইসলামাবাদের ‘মিত্র’ বেজিং-এর বরাবরের বক্তব্য, মাসুদ আজহারকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ ঘোষণার মতো উপযুক্ত প্রমাণ নেই। এ বারও যে চিন সেই প্রচেষ্টা জারি রাখবে, তার ইঙ্গিত আগে থেকেই দিয়ে রেখেছে। তবে এ বার অবস্থান সামান্য পাল্টে বেজিংয়ের যুক্তি, জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে মাসুদ আজহারের সরাসরি যুক্ত থাকার প্রমাণ নেই।
এর আগে ২০১৭ সালে ভিটো প্রয়োগ করে জইশকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তকমা থেকে বাঁচিয়েছিল চিন।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, চিনের এই যুক্তির পরই নতুন করে তথ্য প্রমাণ দিয়েছে ভারত। পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পর পরিস্থিতি অনেক পাল্টেছে। এই আত্মঘাতী জঙ্গি হানার মাস্টারমাইন্ড যে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারই তার একাধিক প্রমাণ ভারতে এসেছে। সেই সব তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে জইশ শীর্ষনেতা হিসেবে আজহারের যে সব অডিয়ো টেপ ভারতের হাতে এসেছে, প্রচুর নথিপত্রের সঙ্গে সেই টেপও নিরাপত্তা পরিষদে প্রমাণ হিসেবে দিয়েছে নয়াদিল্লি।