নির্বাচনী প্রচারে শিশুদের ব্যবহারের অভিযোগ, প্রিয়ঙ্কাকে নোটিশ শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: নির্বাচনী প্রচারে শিশুদের ব্যবহার করার অভিযোগে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন।

সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল নেট দুনিয়ায়। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে শিশুদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন প্রিয়ঙ্কা। আর শিশুরা তাঁকে ঘিরে মোদী বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই নির্বাচনী প্রচারে শিশুদের ব্যবহারে অভিযোগ ওঠে প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে।তার পরই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানায় জাতীয় শিশু কমিশন। এই বিষয়ে প্রিয়ঙ্কার কাছে নোটিশও পাঠিয়েছে কমিশন। তবে শিশু কমিশনের পাঠানো নোটিসে ঠিক কী বলা হয়েছে তা জানা যায়নি।

উত্তরপ্রদেশের অমেঠিতে তোলা হয় ওই ভিডিওটি। যেখানে তাঁর দাদা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর হয়ে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। দেখা যায়, প্রিয়ঙ্কার সামনেই ওই শিশুরা ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান তুলে একটি ছোট অনুষ্ঠান করছে।কিন্তু, এই অনুষ্ঠানের ছন্দে টান পড়ে, যখন, ওই শিশুরাই নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করে। দৃশ্যতই চমকে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা সঙ্গে সঙ্গেই তাদের বাধা দিয়ে বলেন, “এটা নয়। এভাবে নয়। এটা ভালো নয়। তোমরা এটা বলো না”। তারপরই ওই শিশুরা ‘রাহুল গান্ধী জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে আরম্ভ করে।  ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তা নিয়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে ভয়াবহ আক্রমণ করতে আরম্ভ করেন বিজেপি নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি যে ভিডিওটি টুইট করেন, সেখানে ভিডিও’র  শেষ অংশটি ছিল না। তিনি  বলেন, “অসভ্যতামির একেবারে শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে পুরো ব্যাপারটা। একবার ভাবুন তো, কদর্যতম ভাষায় একজন জনপ্রতিনিধির সামনে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হচ্ছে। অথচ, তিনি কিছুই বলছে না। মোদী-বিরোধীদের কণ্ঠ এখন কোথায়?”

তারপরই নিজের সমালোচকদের কড়া জবাব দেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। তিনি বলেন, ‘বিকৃত সত্য’ পেশ করেছেন বিজেপি নেতারা। তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত দুঃখিত, কিন্তু, ওই শিশুরা যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে অপমানজনক কথা বলছিল, তখনই আমি তাদের থামিয়ে দিই। আমার মনে হয়েছিল, দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্বন্ধে এমন কথা বলা একেবারেই ঠিক নয়”। বিজেপি ওই ভিডিও টেপটা সম্পাদনা করে চালায়। তারপরই একেবারে ওদের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অভিযোগটা করে। এটা অবশ্য স্বাভাবিক। আমি সত্যিটা বলি। আর ওরা বলে, বিকৃত সত্যটা”।

উল্লেখ্য, ২০১৪-র অগস্টে একটি রায় দেয় বম্বে হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের সেই আদেশে বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারের কাজে শিশুদের ব্যবহার করা যাবে না। নীচের ভিডিয়োর জন্যই প্রিয়ঙ্কাকে নোটিশ দিয়েছে শিশু কমিশন। দেখুন সেই ভিডিয়ো-

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest