Site icon The News Nest

নির্বাচনে সাফল্য পেতে নয়া অস্ত্র, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে চুক্তি করল তৃণমূল

Mamata and Prasanta

#কলকাতা: এবার পেশাদারিভাবে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে চলেছে তৃণমূল৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের নবান্নে আগমন সেই ইঙ্গিত মিললেও, নিশ্চিত হওয়া গেল কিছুক্ষণের মধ্যেই৷ প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে রীতিমতো চুক্তি করে নিল তৃণমূল নেতৃত্ব৷ ২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করবেন প্রশান্ত কিশোর৷

নরেন্দ্র মোদী, নীতীশ কুমার, কিংবা কংগ্রেস— যখনই যাঁর হাত ধরেছেন, কার্যত সোনা ফলিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তালিকায় শেষ সংযোজন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। এ বার লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে জগনের বিপুল সাফল্যের নেপথ্যের কারিগর যে প্রশান্তই, সে কথা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

এ রাজ্যে তৃণমূলের আসন ৩৪ থেকে কমে ২২ হয়েছে। অন্য দিকে,২ থেকে বেড়ে বিজেপির ঝুলিতে এখন ১৮টি আসন। নিজের দলের এই ক্ষত মেরামতি এবং বিজেপির উত্থান রুখতে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার উপর ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। হাতে পুরোপুরি দু’বছরও সময় নেই। এই পরিস্থিতিতেই খোঁজ পড়ে প্রশান্ত কিশোরের। দলের বিপর্যয় সামাল দেওয়া এবং বিজেপির মোকাবিলা করতেই প্রশান্তের ক্ষুরধার রাজনৈতিক মস্তিষ্ককে কাজে লাগাতে চায় দল, খবর তৃণমূল সূত্রে।তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই কলকাতায় এসেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। নবান্নে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক হয় দু’জনের। দলীয় সূত্রে খবর, এই বৈঠকের পরই প্রশান্ত এবং তাঁর সংস্থাকে কাজে লাগানোর জন্য এগিয়েছেন মমতা। বৈঠকের পর দু’জনের হাবেভাবেও তেমনই বোঝা গিয়েছে।

আদপে বিহারের বক্সারের বাসিন্দা প্রশান্ত কিশোর রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে গড়ে তোলেন নিজের সংস্থা। রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করাই প্রশান্ত এবং তাঁর সংস্থার কাজ। ২০১২ সালে গুজরাতে নরেন্দ্র মোদীর হয়ে কাজ করেন। গুজরাতে মোদী ক্ষমতায় ফেরার পরতাঁকে ঘিরে জাতীয় স্তরে প্রচার শুরু হয়। তার ফল হাতেনাতে পান ২০১৪ সালে। কিন্তু দলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তাঁকে ছেড়ে ২০১৫ সালে নীতীশ কুমারের হয়ে একই কাজ করেন প্রশান্ত। তাঁর তৈরি কৌশলেই বিহারে ব্যাপক সাফল্য পায় নীতীশের নেতৃত্বে মহাজোট। এর পর এ বারের লোকসভা ভোটে জগনের হয়ে কাজ করেন প্রশান্ত। সেখানেও বিপুল সাফল্য। জগনের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের কাছে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে আগের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি। প্রশান্তের এই চোখধাঁধানো সাফল্যের জেরেই এ বার তৃণমূল তাঁকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী মাস থেকেই কাজ শুরু করতে পারেন প্রশান্ত।

Exit mobile version