পঞ্চমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নবীন পট্টনায়েক, ছুঁয়ে ফেললেন জ্যোতি বসুকে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#ভুবনেশ্বর: মঙ্গলবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রার্থনা করে এসেছিলেন। বুধবার সকালে ভুবনেশ্বরে প্রকাশ্য একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল গণেশি লাল। এই নিয়ে পঞ্চমবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রেকর্ড করলেন তিনি। সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেললেন জ্যোতি বসু ও সিকিমের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংকেও।

ভুবনেশ্বরে এদিন ৭২ বছরের নবীন বাদে আরও কয়েকজন মন্ত্রীও শপথ নেন। এর আগে প্রতিবার তাঁরা শপথ নিয়েছেন রাজভবনে। এই প্রথমবার মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছে রাজভবনের বাইরে। শপথ নেওয়ার আগে নবীন ১১ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ন’জন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করেন। তাঁর মন্ত্রিসভায় এবার ১০ জন বিধায়ক প্রথমবার মন্ত্রী হয়েছেন। ২০০০ সাল থেকে ওড়িশায় ক্ষমতায় আছে নবীনের বিজু জনতা দল। এবার রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একইসঙ্গে হয়েছে। ১৪৭ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় বিজু জনতা দল পেয়েছে ১১২ টি আসন।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নবীন আমন্ত্রণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কিন্তু মোদী আসতে পারেননি। লোকসভায় বিজেপির জয়ের পরেই নবীন ফোনে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।বিজেডি ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এনডিএ-র শরিক ছিল। পরে নবীন কংগ্রেস ও বিজেপি, উভয় দল থেকে সমান দূরত্ব বজায় রাখার নীতি গ্রহণ করেন। এবার ভোটের আগে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে কোনও দলই গরিষ্ঠতা পাবে না। কেন্দ্রে জোট সরকার তৈরি হবে। যে দল ওড়িশার উন্নয়নে সাহায্য করবে আমি সেই দলের সঙ্গে থাকব।

ওড়িশায় এ বার প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হাওয়া ছিল বলে জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অনেকের মত ছিল, এ বার সম্ভবত ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে রাজ্য। কিন্তু সব পূর্বাভাসকে উড়িয়ে আবার আধিপত্য বজায় রেখে ক্ষমতায় ফেরে নবীনের বিজেডি। ১৪৭ আসনের বিধানসভায় ১১২টি আসন জেতে তারা, যা পাঁচ বছর আগের ফলাফলের থেকে মাত্র পাঁচটি আসন কম।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest