পরিবারের বিকৃত রীতি, বালিগঞ্জের অভিজাত বাড়িতেই ধর্ষিতা বধূ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

খাস কলকাতার বুকে বিকৃত পারিবারিক যৌনলিপ্সার অভিযোগ। নারকীয় যৌন নির্যাতনের শিকার এক গৃহবধূ। অভিজাত ব্যবসায়ী পরিবারের মধ্যে ভাসুরকে দিয়ে বধূকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল বালিগঞ্জ পার্ক এলাকা। পণের দাবিতেও চলত তাঁর উপর অত্যাচার। কয়েক মাস অত্যাচার সহ্য করার পর অবশেষে কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা।
বালিগঞ্জ পার্কে অভিজাত এলাকার আবাসনের তিনতলায় থাকে নামকরা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুরঞ্জন সেন ও নীলাঞ্জন সেনের পরিবার। কেতাদুরস্ত, ঝাঁ চকচকে অভিজাত পরিবারের অন্দরেই যে এত বড় ফাটল, তা বেরিয়ে পড়ল ওই পরিবারেরই এক সদস্যার নির্যাতনের কাহিনীতে। নির্যাতিতা ব্যবসায়ী সুরঞ্জন সেনের স্ত্রী। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পরেই ওই তরুণীকে বলা হয় পরিবারের প্রথা অনুযায়ী ভাইদের মধ্যে স্ত্রী অদল বদল করা হয়। এক ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে অন্য ভাইকে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে হবে।অভিযোগ, পারিবারিক প্রথার নামে এ ভাবেই দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বাড়িতেই ধর্ষিতা হয়েছেন ওই মহিলা। মহিলার অভিযোগ, এতেই অত্যাচার শেষ হয়নি। তাঁর নিজের স্বামীও তাঁকে বাধ্য করতেন বিকৃত যৌনতায় সঙ্গ দিতে।প্রতিবাদ করতেই জুটত বেধড়ক মারধর। জানা গিয়েছে, পণের টাকার জন্যই তাঁকে এমন অত্যাচার করা হত। ক্রমাগত নির্যাতনের জেরে শেষমেশ বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী। কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই বালিগঞ্জ পার্কের অভিজাত অরিহন্ত গার্ডেনের আবাসনের চারতলা ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ। তরুণীর স্বামী সুরঞ্জন সেন ও ভাসুর নীলাঞ্জন সেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে ফ্ল্যাটে হানা দিতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এমনকি, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশকে মারধরও করে পরিবারের লোকেরা। মারধরের জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার বয়ানে উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁর দাবি, ওই পরিবারের এই ভাবেই অনান্য মহিলার ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ভাসুর কিংবা দেওরকে দিয়ে ‘ধর্ষণ’ করানো নাকি সেন পরিবারের ‘রীতি’। এবিষয়ে বাড়ির অন্যান্য মহিলারাও নাকি মুখ বন্ধ করে অত্যাচার সহ্য করেছেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। তিনিই প্রথম প্রতিবাদ জানান। আর তারপর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার।পুলিস নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেছে।
যদিও নির্যাতিতার শ্বশুর পাল্টা অভিযোগ তুলছেন বৌমার বিরুদ্ধে। শ্বশুরের পাল্টা অভিয়োগ, বৌমাই বাইরে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে রাত কাটান। তাঁর চারিত্রিক সমস্যা রয়েছে। তাঁকে একঘর করা হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে কেউ কথা বলছিলেন না। সাত মাস আগেই বৌমা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest