‘পাওয়ারলেস কাপল’,কংগ্রেসের ওপরে রাগ করে ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত সিধু দম্পতির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

চন্ডিগড়: ১৯ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও গোসা কমেনি পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধুর। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সভায় বক্তব্য পেশ করতে না পারা বা লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের তারকা প্রচারক হিসেবে নাম না থাকায় দলের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন সিধু। সরকারি কাজ করছেন না, দলের কোনও ব্যাপারেও মাথা ঘামাচ্ছেন না অতীত দিনের এই তারকা ওপেনার। এখন অবস্থা যে জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে তাতে সিধুর গোসা আরও বাড়তে চলেছে। তাঁর স্ত্রী নভজ্যোত করও পছন্দমতো আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন না। নভজ্যোত চণ্ডীগড় আসন থেকে লড়তে চান। কিন্তু তাঁর জন্য অমৃতসর আসন নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করে দল। তিনি আগে ওই কেন্দ্রে বিজেপির কিরণ খেরের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। সিধুর স্ত্রী আশা করেছিলেন, এবার বনসল টিকিট পাবেন না। তাঁর বদলে দল তাঁকে প্রার্থী করবে। কিন্তু কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায়, শতাব্দীপ্রাচীন এই দল বনসলের ওপরেই ফের আস্থা রেখেছে।অসন্তুষ্ট হয়ে সিধু দম্পতি ঘোষণা করেছেন, দল যতই বলুক, পঞ্জাবের আর কোনও কেন্দ্র থেকে তাঁরা আর দাঁড়াবেন না।

পঞ্জাবে সিধুরা ‘পাওয়ার কাপল’ অর্থাৎ ক্ষমতাশালী দম্পতি বলে পরিচিত। কিন্তু সিধুর স্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, আমরা এখন পাওয়ারলেস কাপল। ক্ষমতাহীন দম্পতি। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি পাঞ্জাবের আর কোনও কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন কি? তিনি সঙ্গে সঙ্গে বলেন, কেন দাঁড়াব? দল আমাকে অমৃতসর থেকে দাঁড় করাতে চেয়েছিল। অমৃতসরের বিধায়করাও আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু চণ্ডীগড়ের ব্যাপারটা আলাদা। অমৃতসর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ন’টি বিধানসভা কেন্দ্র আছে। কোনও মহিলা একা ন’টি বিধানসভা কেন্দ্র দেখভাল করতে পারেন না। চণ্ডীগড় লোকসভা কেন্দ্রের আয়তন কম। আমি একা ওই কেন্দ্রের কাজকর্ম সামলাতে পারব।নভজ্যোৎ কাউরের দাবি, চণ্ডীগড়ে কংগ্রেস কোনও মহিলা প্রার্থীকে দাঁড় না করানোয় একপ্রকার শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর কথায়, আমি সেই শূন্যতা পূরণ করতে চেয়েছিলাম। আমি চণ্ডীগড় লোকসভা কেন্দ্রের বহু গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। গ্রামবাসীরা অনেকে এখন কাঁদছেন। আমি চণ্ডীগড়ের জন্য অনেক কিছু করব ভেবেছিলাম।dc Cover vo9fccp1fjkvqr3bbvdjm2j7q3 20160718204310.Medi

দিন কয়েক আগে পাঞ্জাবের মোগাতে জনসভা করেন রাহুল। সেখানে বলার সুযোগ পাননি সিধু। এ নিয়েই নতুন করে গোলমাল দেখা দেয়। এমনিতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন সিধু।আগে বিজেপিতে ছিলেন সিধু। অমৃতসর কেন্দ্র থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁকে আসন ছাড়তে বলে বিজেপি। অরুণ জেটলিকে ওই আসন থেকে দাঁড় করায় বিজেপি। সিধু অন্য আসন থেকে লড়তে রাজি হননি বলে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অল্প সময় পরেই দল ত্যাগ করেন সিধু। ইতিমধ্যে ২০১২ সালের নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতে অমৃতসর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তাঁর স্ত্রী। পরে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দল ছাড়েন তিনিও।সূত্রের খবর, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সময় সিধুকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাঁর স্ত্রীকে দলের টিকিট দেওয়া হবে। কংগ্রেস সেইমতো সিধুর স্ত্রীকে অমৃতসর, ফিরোজপুর এবং ভাতিন্দার মধ্যে একটি আসনে দাঁড়াতে বলেছিল। কিন্তু নভজ্যোৎ কাউর চণ্ডীগড় ছাড়া আর কোনও লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে রাজি নন।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest