ইসলামাবাদ : ক’দিন আগেই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি একটি মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছিলেন, মাসুদ অসুস্থ, তবে তিনি পাকিস্তানেই রয়েছেন। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল।কিন্তু বুধবার পাক সেনাবাহিনীর তরফে দাবি করা হল, জইশ-ই-মহম্মদ নামের কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর অস্তিত্বই নেই তাঁদের দেশে!
মাসুদ আজহারের দুই সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া ও ফলাহ-ই-ইনসানিয়তের বিরুদ্ধে বুধবার ও অভিযান চলল পাকিস্তানে। পাক সরকারের অর্থসচিব স্বীকার করে নিয়েছেন, মে মাসের মধ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করলে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন এফএটিএফের কালো তালিকায় পড়তে হবে তাদের।পাক সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সে দেশে জামাত-উদ-দাওয়ার প্রায় ৩০০টি ধর্মশিক্ষা স্কুল রয়েছে। হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাও চালায় তারা। জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফলাহ-ই-ইনসানিয়তের প্রায় ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে পাকিস্তানে। মাসুদের ছেলে হামাদ আজহার ও ভাই মুফতি আব্দুল রউফকে আটক করেছে পাকিস্তান। আটক করা হয়েছে জঙ্গি সংগঠনের ৪২ জন সদস্যকে। এর পরেই মাসুদের ওই দুই সংস্থার আরও কিছু স্কুল ও সম্পত্তি নিজেদের দখলে নেয় পাক সরকার। বিশেষ করে পঞ্জাব প্রদেশে মাসুদের সংগঠন ও তাদের সম্পত্তির উপর পাক সরকারের অভিযান চলেছে।ই পরিস্থিতিতে সব চেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল, মাসুদ সম্পর্কে পাক সেনার বক্তব্য। বুধবার পাকিস্তানি সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর নিজে এই কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, “পাকিস্তানে জইশের অস্তিত্ব নেই।” ঘটনার পরেই নানা মহলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা ও হাসির ঝড় বয়ে গিয়েছে। কেউ বলছেন, তা হলে রাওয়ালপিণ্ডির সেনা হাসপাতালে ভর্তি থাকা মাসুদ আজহারের পরিচয় কী। কেউ আবার বলছেন, যদি জঙ্গি সংগঠনই না থাকবে, তা হলে বালাকোটে কীসের শিবির ছিল? সব চেয়ে হাস্যকর বিষয় হল, পাক সেনা এই দাবি করার পরেই জইশ-ই-মহম্মদের তরফে একটি অডিও টেপ প্রকাশ করা হয়। তাতে রীতিমতো হুমকির সুরে কথা বলেছে তারা।