পাকিস্তানে চলে যাও, ভোটের আগে ফের হিন্দুত্ববাদীদের হাতে আক্রান্ত মুসলিম পরিবার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গুরগাঁও: হোলির সন্ধেতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হাতে আক্রান্ত হল এক মুসলিম পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে গুরগাঁওয়ের ধামাসপুর গ্রামে।ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে,একটি ছেলেকে ফেলে পেটাচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ জন উন্মত্ত ব্যক্তি। হামলাকারীদের গায়ে লেগে রয়েছে হোলির রঙ। হাতে রয়েছে বাঁশ, লাঠি, জলের মোটা পাইপ, লোহার রড, হকি স্টিক এবং ব্যাট। সাবাই মিলে একজনকে পেটাচ্ছে।কয়েকজন মহিলা বারবার ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩ বছর আগে গুরগাঁও চলে এসেছেন মহম্মদ সামসাদ।বাড়ি তৈরি করার পর স্ত্রী সামিনা ও ৬ সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন তিনি। হোলির দিন তাঁদের বাড়তে এসেছিল বেশকিছু আত্মীয়।সামসাদ জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বাড়ির পাশে একটি খালি জায়গায় ক্রিকেট খেলছিল বাড়ির বাচ্চারা। হটাৎই বাইক করে সেখানে আসে ২ যুবক। বাচ্ছাদের বলা হয়,পাকিস্থানে গিয়ে ক্রিকেট খেলার জন্য। তাদের কথার প্রতিবাদ করলেই মারধর শুরু করে। তারপর সেখান থেকে চলে যায়. খানিক পর ছ’টা বাইক চেপে প্রায় ২০-২৫ জন আসে। পুরুষ ও বাচ্চাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। বাড়ি খালি করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়  মহম্মদ সাজিদকে। সামিমার অভিযোগ,বাড়ি থেকে বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রীও লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।আক্রান্ত শাহিদের পিতা মহম্মদ সামসাদ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভনসি থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। যার মধ্যে খুনের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। গুরুগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(অপরাধ) সামশের সিং জানিয়েছেন সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ৬জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ ওইদিন ঘটনার প্রায় ৪০ মিনিট পর আসে পুলিশ। বারবার ফোন করেও মেলেনি সাহায্য।পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যায় দুষ্কতীরা। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest