হাওড়া: পুরসভা চত্বরে উকিলদের বাইক পার্ক করা নিয়ে বচসার জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়া আদালত চত্বর। এদিন সকালে হাওড়া পুরসভার কর্মী ও আইনজীবীদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি শুরু হয়। দ্রুত তা রূপান্তরিত হয় ইট ছোঁড়াছুড়িতে। ইটের ঘায়ে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন৷
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ। কর্পোরেশনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের নতুন গেটের সামনে এক আইনজীবীর গাড়ি পার্ক করা ছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, কর্পোরেশনের অস্থায়ী কর্মীদের কেউ সেই গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এরপর খবর যায় কোর্টে। কালো কোট সেরেস্তাতে রেখে পিলপিল করে উকিলরা ঢুকে পড়েন কর্পোরেশনে। পুরকর্মীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় আইনজীবীদের। অভিযোগ, এক আইনজীবীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন এক পুরকর্মীও। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কর্পোরেশনের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় আইনজীবীদের।যত যময় এগোয়, তত চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। কর্পোরেশন এলাকা থেকে গণ্ডগোল বেরিয়ে নেমে আসে কোর্টের সামনের রাস্তায়। শুরু হয় ইট বৃষ্টি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্ধ হতে শুরু করে দোকানপাট। বেশ কিছুক্ষণ পর হাওড়া কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। তাদেরও পরিস্থিতি সামাল দিতে নাকানিচোবানি খেতে হয়।
উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে ব়্যাফ৷ অভিযুক্ত পুরকর্মীদের শাস্তির দাবিতে আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান৷ করা হয় পথ অবরোধ৷ একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালায় বলে অভিযোগ৷ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী অরূপ রায়ও। কিন্তু, তাকেও কমানো যায়নি উত্তেজনা৷ প্রসঙ্গত, হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট না হওয়ার কারণে, এখন কোনও পুরবোর্ড নেই। বসানো হয়েছে প্রশাসক। সেই কমিশনার বিজিন কৃষ্ণাকেও নামতে হয় রাস্তায়।পরে, আইনজীবীদের তরফে বেশ কয়েকটি আদালতে কর্মবিরতি পালন করেন৷ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ঘটনাস্থলে বার কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা৷ আইনজীবীদের একাংশের দাবি, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে বাংলাজুড়ে আদালতের কাজ স্তব্ধ করে দেওয়া হবে৷ঘটনাস্থলে এখনও মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ।