‘পালিয়ে বিয়ে করলে বাড়বে কন্যাভ্রূণ হত্যা’, সাক্ষীর ঘটনার বিরোধিতায় বিতর্কিত টুইট বিজেপি নেতার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নয়াদিল্লি: পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও দলিতকে বিয়ে করেছেন৷ বিজেপি বিধায়কের মেয়ে সাক্ষীর অভিযোগ, তারপর থেকে বাবা তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন৷ তরুণীর অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজনীতির অলিন্দ৷ অভিযোগ-পালটা সাফাইয়ের মাঝে একটিমাত্র টুইটেই বিতর্ক বাড়ালেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক গোপাল ভার্গব৷ এভাবে চলতে থাকলে কন্যাভ্রূণ হত্যা বাড়বে বলেই দাবি তাঁর৷

উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক রাজেশ মিশ্রের মেয়ে সাক্ষী মিশ্রের পোস্টের নিরিখে সোশ্যাল সাইটে বিধায়ক গোপাল ভার্গব লিখেছেন, মিডিয়া যেভাবে দেখাচ্ছে পুরো বিষয়টাকে, তাতে এভাবে চললে তো আগামী কিছু বছরে আর কণ্যাভ্রূণ থাকবেই না।  হাসপাতাল, নার্সিংহোম গুলোতে গর্ভপাতের সংখ্যাও অনেকটাই বেড়ে যাবে।  আমাদের দেশে অগ্রগতি আসবে কী করে! একটা সময়ে দেশে পুরুষ নারীর অনুপাতে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।  তিনি আরও বলেছেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত।  তবে তিনি মনে করেন, এভাবে কেউ পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে থাকলে, আর তাঁকে প্রশ্রয় দিলে ঘরে ঘরে গর্ভপাত করা হবে একটা সময়।  যতই বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রচার করা হোক কোনও লাভ হবে না।  বরং দেশ আরও ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে।

ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, উত্তরপ্রদেশের বরেলির বিজেপি বিধায়ক রাজেশ মিশ্রের পাশে দাঁড়াতে গিয়েই এমন টুইট করেছেন গোপাল ভার্গব৷ ইতিমধ্যেই এই টুইটের সমালোচনায় সরব হয়েছে সব মহলই৷ কীভাবে বর্তমান যুগে এমন মন্তব্য করা যায়, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা৷

বিজেপি ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ এই স্লোগানে সারা দেশে মেয়েদের নিয়ে সুরক্ষার একটা আবহাওয়া তৈরি করতে চাইছে, সে সময়েই মারাত্মক অভিযোগ এসেছিল বিজেপি বিধায়কের মেয়ের কাছ থেকেই।  উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বিজেপি বিধায়ক রাজেশ মিশ্রের ২৩ বছরের মেয়ে সাক্ষী মিশ্র বিয়ে করেছেন অজিতেশ কুমারকে।  অজিতেশ তাঁদের চেয়ে নিচু জাতের, তাই বারবার তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, মেরে ফেলতে চাওয়া হচ্ছে।  তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে।  তাই সাক্ষী সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথা জানিয়ে নিজের বাবা এবং ভাইকে অনুরোধ করেছেন, তাঁদের উপর যাতে অত্যাচার বন্ধ করা হয়।  অজিতেশের আত্মীয় পরিজনকেও যাতে বিব্রত করা বন্ধ করা হয়।

ইতিমধ্যেই জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে এই ঘটনা যখন উঠে এসেছে, সাক্ষী এবং অজিতেশকে লায়লা মাজনু বলে অভিহিত করা হয়েছে।  কারণ তাঁদের প্রেম আবারও পরিবারের কোপে পড়ছে।  অজিতেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টে পুলিশ প্রোটেকশনের আবেদনও করেছেন।  সোমবার এলাহাবাদ হাই কোর্টে বাবার বিরুদ্ধে মামলার শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন সাক্ষী এবং তাঁর স্বামী অজিতেশ৷ এই ঘটনার নেপথ্যেও বাবার কারসাজি রয়েছে বলেই অভিযোগ বিধায়কের মেয়ের৷ যদিও বিধায়ক রাজেশ মিশ্র মেয়ের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ শুধুমাত্র অজিতেশের কম উপার্জন এবং মেয়ের সঙ্গে বয়সের ফারাকের জেরে বিয়েতে বিরোধিতা বলেই দাবি বিধায়কের৷ তবে বিধায়ক যাই বলুক না কেন আদালত প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষী এবং অজিতেশের বিয়েকে মান্যতা দিয়েছে৷

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest