#নয়াদিল্লি: অবশেষে খোঁজ মিলল বায়ুসেনার নিখোঁজ বিমান এএন–৩২ এর। সূত্রের খবর, অরুণাচল প্রদেশের লিপো এলাকায় নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পেয়েছে উদ্ধারকারী দল। মঙ্গলবার সকালে আকাশ পথে বিমানটির খোঁজ চালানোর সময় ধ্বংসাবশেষ নজরে আসে বায়ুসেনার এমআই–১৭ হেলিকপ্টারের।
এদিন বায়ুসেনা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ১২ হাজার ফুট উঁচুতে বায়ুসেনার একটি এমআই ১৭ হেলিকপ্টার ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছে। বিমানে আট কর্মী সহ যে ১৩ জন ছিলেন, তাঁদের কী হল জানা যায়নি। গত ৩ জুন অসমের যোরহাট থেকে ১৩ জনকে নিয়ে উড়েছিল বায়ুসেনার এএন-৩২ বিমানটি। ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে সেটা নিখোঁজ হয়ে যায়।
তার পরেই তার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে হেলিকপ্টার, সুখোই, সুপার হারকিউলিস এয়ারক্রাফট, নৌবাহিনীর পি-৮১ বিমান ও চালকবিহীন বিমান। ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশনও বিশেষ সেন্সরের সাহায্যে নিখোঁজ বিমানটিকে খুঁজতে সাহায্য করে।এছাড়া ১৫০০ সেনা, পুলিশ, স্থানীয় গ্রামবাসী ও শিকারিরা পাহাড়ে নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে পাহাড়ে তল্লাশি চালায়। শনিবার বায়ুসেনার প্রধান বি এস ধানোয়া জোরহাটে গিয়ে তল্লাশি কেমন চলছে খোঁজ নেন। নিখোঁজ বিমানের আরোহীদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তল্লাশি অভিযানে নামে বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমান, সুখোই এসইউ-৩০, নৌসেনার পি৮-আই বিমান। এ ছাড়াও সেই অভিযানে অংশ নেয় সেনা হেলিকপ্টারও। সাহায্য নেওয়া হয় ইসরো-র উপগ্রহের এবং ড্রোনের। রাতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছিল গত কয়েক দিন ধরেই। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা এবং প্রতিকূল আবহাওয়া এই অভিযানে তাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু তার পরেও তল্লাশি অভিযান বন্ধ রাখা হয়নি। সেনার পাশাপাশি, অরুণাচলের সি ইয়োমির শিকারিদেরও উদ্ধারকাজে লাগানো হয়। হারিয়ে যাওয়া বিমানের খোঁজ দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করে বায়ুসেনা।
আটের দশকে এএন-৩২ বিমানগুলি ভূতপূর্ব সোভিয়েত রাশিয়া থেকে কেনা হয়। প্রতিটি বিমানে ৪০ জন উঠতে পারে। এর আগে দু’বার এএন ৩২ বিমানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হয়েছে। ২০১৬ সালে ওই ধরনের একটি বিমান বঙ্গোপসাগরে পড়ে যায়। বিমানে ২৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি। বিমানের ধ্বংসাবশেষেরও খোঁজ মেলেনি। ১০ বছর আগে একটি এএন-৩২ বিমান অরুণাচলের সিয়াং প্রদেশে ভেঙে পড়ে। ১৩ জন মারা যান। দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা বাদে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ফুট ওপরে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।